নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির ৬৪% ভোটারই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সামনের নির্বাচনে চাচ্ছেন না। নিউইয়র্ক টাইমস এবং সিয়েনা কলেজ পরিচালিত সর্বশেষ জরিপের এ তথ্য ১১ জুলাই প্রকাশ করা হয়েছে।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তালিকাভুক্ত ভোটারের মাত্র ৩৩% বাইডেনের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেছেন। পার্টির অধিকাংশ ভোটারই অধিকতর যোগ্যতাসম্পন্ন একজনকে সামনের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন।
গত দেড় বছরের শাসনামলে বাইডেন অনেক কিছুই দক্ষতার সাথে হ্যান্ডেল করতে সক্ষম না হওয়ায় দলীয় ভোটারের মধ্যে এমন প্রত্যাশা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে অর্থনীতি এবং মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতি যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জনগণের প্রত্যাশিত পদক্ষেপ গ্রহণে সক্ষম না হওয়ায় তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাহীনতা প্রবল আকার কারণ করেছে বলে জরিপ পরিচালনাকারিরা মন্তব্য করেছেন।
ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্তদের তিন-চতুর্শাংশ মনে করছেন, বাইডেনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ভুল পথে ধাবিত হচ্ছে। আর এ বিষয়টি সারা আমেরিকার খেটে খাওয়া মানুষকে হতাশ করেছে। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র সকল বয়সী আমেরিকানই ক্ষুব্ধ বাইডেনের দুর্বল নেতৃত্বের ব্যাপারে। এমন অবস্থা শুধু ডেমক্র্যাটিক পার্টিরই নয়, রিপাবলিকানদেরকেও ক্ষেপিয়ে তুলেছে বলে জরিপে উঠে এসেছে।
জরিপ অনুযায়ী, মাত্র ১৩% ভোটার মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র সঠিক পথে রয়েছে। এক যুগেরও অধিক সময় আগে অর্থাৎ ২০০৮ সালের মন্দা পরিস্থিতির সময়ের চেয়েও বাইডেনের এই জনপ্রিয়তা তলানিতে গেছে।
কট্টর ডেমোক্রেটদের ৭০% বাইডেনের প্রতি এখন পর্যন্ত নমনীয় বলে জরিপে দেখা গেছে। অপরদিকে, রিপাবলিকানদের মধ্যে বাইডেন বিরোধী ঐক্যমত ক্রমে জোরদার হচ্ছে। রিপাবলিকানদের দুই-তৃতীয়াংশই এখন বাইডেনকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
এর অর্ধেকই ক্ষিপ্ত বাইডেনের নেতৃত্বে। সামনের নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচনে যখন কংগ্রেসের উভয় কক্ষের নেতৃত্ব ডেমোক্রেটদের জন্যে জরুরি, সে অবস্থায় প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি সর্বসাধারণের আস্থাহীনতার মাত্রা বাড়তে থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সচেতন সমাজে হতাশা বাড়ছে। এজন্য ডেমক্র্যাট-সমর্থকরা বাইডেনের পরিবর্তে ২০২৪ সালের নির্বাচনে দক্ষ একজনকে সামনে আনার আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাইডেন হলেন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রবীণ প্রেসিডেন্ট, যার বয়স এখন ৭৯ বছর। এই জরিপে অংশগ্রহণকারীগণের মধ্যে যাদের বয়স ৩০ বছরের কম, তাদের ৯৪% মনে করছেন বাইডেনের পরিবর্তে কমবয়সী কাউকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করা দরকার।