ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে গোপনে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর ওইদিন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে বিজয় উল্লাস করে। আর আজ কোনো ধরনের বাধা-বিপত্তি ছাড়াই রাজধানীতে সমাবেশ করছে বিএনপি।
বুধবার (৭ আগস্ট) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর সভাপতিত্ব করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠেন সারা দেশের বিএনপি নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে নয়াপল্টন দলের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ মঞ্চ তৈরির কাজ করে বিএনপি। প্রশাসনের কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই নির্বিঘ্নে চালিয়ে যায় দলটি। আর আজ সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
সরেজমিনে বিএনপির সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বদলে গেল দলটির কার্যালয়ে আশপাশের পরিবেশ। গত এক দশক ধরে দেখা যেত দলটির কার্যালয় ঘিরে চারপাশে থাকতো পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেই দৃশ্যটি আজ চোখে পড়েনি।
এদিকে রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত ব্যানার-পেস্টুন শোভা পাচ্ছে সমাবেশস্থলের বিভিন্ন জায়গায়। শুধু তাই নয়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত বেনার-পেস্টুনও দেখা গেছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে মাইকও লাগানো হয়েছে রাজধানীর বিজয় নগর পানির ট্যাংকি পর্যন্ত।
সমাবেশে আসা বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, আগে সমাবেশে আসতে পথে-পথে বাধার সম্মুখীন হতাম। অনেক সময় হামলাও শিকার হতাম। এছাড়া সমাবেশস্থল থেকে কিংবা আসা-যাওয়ার পথ থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভবনা থাকতো। আজ সেই ভয় নেই। গত কয়েক দিন নিজ বাসা-বাড়িতে শান্তিতে ঘুমাতে পেরেছি। গ্রেপ্তারের ভয় ছিল না।
এদিকে সমাবেশ মঞ্চের মাইক থেকে বলা হচ্ছে- আজ আমরা মুক্ত। বিজয় অর্জন করেছি। এখন অনেক সুযোগ সন্ধানী দলে ভিড়তে চাইবে। নিজেদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইবে। এটা হতে দেওয়া যাবে না।
মঞ্চ থেকে নেতাকর্মীদের বিচারপতির বাসভবন, পল্টন থানাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পাহারা দিতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।