বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, দলীয়ভাবে ১৭ জন সাময়িক বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে আছেন যাদের ন্যূনতম যোগ্যতা নেই । আজকে প্রশাসনে দলীয় ভিত্তিতে লোক নেয়া হচ্ছে । আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতেও লোক নেয়া হচ্ছে দলীয় ভিত্তিতে।
তিনি বলেছেন, যেখানে চাকরির জন্য যাবেন, সেখানেই দলীয় ভিত্তিতে নেয়া হয়। এভাবে আজকে পুরো প্রশাসনকে সরকার দলীয়করণ করে ফেলেছে। রাষ্ট্রকে দলীয়করণ করে ফেলেছে। যারা আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় বসে আছে, তারা একে একে রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
মেগা প্রজেক্টে মেগা লুটপাট হয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে দুর্নীতি নাই। দেশ একটি লুটপাটের রাজত্বে পরিণত হয়েছে। যেখানে যাবেন সেখানেই দুর্নীতি ও লুটপাট।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে মানুষ কথা বলতে পারে না, কেউ কথা বলার সাহস পায় না। আমি কালকে একটি রেস্টুরেন্টে চা খেতে গিয়েছিলাম। আমি যাওয়ার পর সেখানে সবাই ছুটে আসল। আমরা যাদেরকে বয়-বেয়ারা বলি। তারা এসে বলছে, স্যার আমরা কেউ গাজীপুরের, কেউ ভোলার, কেউ রাজশাহীর। আমরা কেউ এলাকায় থাকতে পারছি না। আমরা মিথ্যা মামলা এবং ওদের (আওয়ামী লীগ) অত্যাচারে পালিয়ে চলে এসেছি।
তিনি বলেন, এই রকম অবস্থা বাংলাদেশে এখন শুরু হয়েছে। এ রকম ঘটনা একটা দুটো নয়। প্রায় সব জায়গায় দেখবেন আমাদের ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ছেলেরা, এমনকি বিএনপির বয়স্ক লোকেরা এলাকায় থাকতে পারছে না।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।