বিটরুট মাটির নিচের সবজি। অনেকটা শালগমের মতো দেখতে এই সবজি গাঢ় লাল রঙের হয়। বিটরুটে পাওয়া যায় প্রোটিন, চর্বি, আয়রন, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেটের মতো পুষ্টি উপাদান। যে কারণে নিয়মিত বিটরুট খেলে শরীর নানাভাবে উপকৃত হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিটরুট খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-
রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে
প্রতি একশো গ্রাম সেদ্ধ বিটরুটে মিলবে ৪ শতাংশ আয়রন। এটি আমাদের শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে কাজ করে। যে কারণে রক্তশূন্যতার মতো কঠিন অসুখ প্রতিরোধ করা সহজ হয়। রক্তের পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি এটি অক্সিজেন পরিবহনেরও উন্নতি করে। যে কারণে সুস্থ থাকা সহজ হয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত বিটরুট খেতে পারেন, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণে এই সবজিতে পাওয়া যায় নাইট্রেট এবং পটাসিয়াম। এই দুই উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এভাবে নিয়মিত বিটরুট খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে কোলেস্টেরলের মাত্রাও।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে বিটরুট। কারণ এতে থাকে বিটেইন, ফেরুলিক অ্যাসিড, রুটিন, কেমফেরল এবং ক্যাফেইক অ্যাসিডের মতো অনেক কার্যকরী যৌগ। এগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে এ বিষয়ে এখনও আরও গবেষণা প্রয়োজন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে বিটরুট। কারণ বিটরুটে পাওয়া যায় প্রচুর ভিটামিন সি। হেলথলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি একশো গ্রাম সেদ্ধ বিটরুটে পাওয়া যায় ৪ শতাংশ পর্যন্ত ভিটামিন সি। যে কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত বিটরুট খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।