বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে গণভবনের সব বাতি জ্বালানো হয় না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাতে স্পিকার ড. শিরিন শারমিনের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে সাধারণ আলোচনায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
গণভবন ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে নেওয়া পদক্ষেপের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই গণভবনে আমরা কিন্তু সব বাতি জ্বালাই না। আমরা সেখানে কিন্তু বিদ্যুৎ সাশ্রয় করি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আমরা সাশ্রয় করি। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার চেয়ে এখন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অনেক কাজও আমরা করি। কাজেই সেভাবেই কিন্তু আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বিভিন্ন দেশ থেকে গম, ভুট্টা ও চাল আমদানির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাধারণ মানুষ যেন কষ্ট না পায়, এর জন্য যা যা করা দরকার আমরা কিন্তু করে যাচ্ছি। কারণ দেশে যেন কোনো রকম খাদ্য সংকট না হয়। সেই সঙ্গে সঙ্গে আমি সবাইকে আহ্বান করছি- আমাদের যেসব জমি আছে, সেগুলো সবাই যেন ফসল ফলায়। সবাই যেন চাষ করে। এতে কিছু যেন উৎপাদন হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যেসব বৈদেশিক ঋণ নেই, তা সময়মতো পরিশোধ করি। আমরা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হবো না। কারণ আমরা সময়মতো খোঁজ নেই, কখন এসব ঋণ পরিশোধ করতে হবে। আমরা সবসময় চেষ্টা করি আমাদের অর্থনীতি যেন শক্তিশালী থাকে।
সকলের সহযোগিতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সকলের সহযোগিতা চাই। খালি কতগুলো অসত্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। এটাই আমার কথা। আমাদের দেশের মানুষের কল্যাণটাই আমাদের কাছে সব থেকে বড়। মানুষের কষ্ট হলে সেটা অন্তত আমার মনে ব্যথা লাগে।