বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী, এ বছর মোট ৫৭ হাজার ৫৮৫ বাংলাদেশি হজ করতে পারবেন।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য সাধারণ প্যাকেজ মূল্য নির্ধারণ করেছে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হজ)। ২০২০ সালের তুলনায় এটি প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার ১৫০ টাকা বেশি।
তবে এ প্যাকেজের মধ্যে কোরবানির খরচ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এজন্য প্রত্যেক হজযাত্রীকে আরও ১৯ হাজার ৬৮৩ টাকা ব্যয় করতে হবে।
বৃহস্পতিবার হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম জানান, হজ এজেন্সিগুলো তাদের নিজস্ব ‘বিশেষ হজ প্যাকেজ’ ঘোষণা করতে পারবে। তবে, এরকম কোনো প্যাকেজের ন্যূনতম মূল্য নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কম হতে পারবে না।
হাবের অধীনে রয়েছে প্রায় ১৫০০টি হজ এজেন্সি। ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ‘সাধারণ হজ প্যাকেজ’ ঘোষণা করে তারা।
এর আগে বুধবার, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যূনতম হজ প্যাকেজ প্রস্তাব করে ধর্ম মন্ত্রণালয়, এর মূল্য ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩০ টাকা।
তবে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেসরকারি সংস্থাগুলো সরকারের ঘোষিত প্যাকেজ-১ এবং প্যাকেজ-২-এর মতো একাধিক প্যাকেজ দিতে পারবে।
হাব সভাপতি বলেন, তারা বিমান ভাড়া, সৌদি আরবে বাসস্থান, সার্ভিস চার্জ, মুয়াল্লেম ফি, জমজমের পানি, খাবারের খরচ এবং অন্যান্য ফি হিসাব করে সাধারণ হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “বিমান ভাড়া মোট ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬ টাকা, সার্ভিস ও পরিবহন ব্যয় ৪২ হাজার ৬৩৫ টাকা, জমজম পানি ২৯২ টাকা, অন্যান্য সার্ভিস চার্জ ৬২ হাজার ২৩৬ টাকা, লাগেজ পরিবহন ৭২৯ টাকা, ভিসা ফি ৮ হাজার ৩৮৪ টাকা, ইনস্যুরেন্স ২ হাজার ৬৭৩ টাকা, স্থানীয় সার্ভিস চার্জ ১০০০, ক্যাম্প তহবিল ২০০ টাকা, প্রশিক্ষণ ৩০০, খাওয়া ৩২ হাজার টাকা, নিবন্ধন ২০০০ টাকা, মোনাজ্জেম খরচ ৪০০০, হজ গাইড খরচ ১০ হাজার ২৩৮ টাকা।”
প্রত্যেক হজযাত্রীকে সৌদি আরবের ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে কুরবানী কুপনের জন্য অতিরিক্ত ১৯ হাজার ৬৮৩ টাকা দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
“প্যাকেজের টাকা ১৮ মের মধ্যে জমা দিতে হবে। এজেন্সির ব্যাংক হিসাব অথবা টাকা জমা দেওয়ার রশিদ গ্রহণ করতে হবে। হজ ফ্লাইট পরিচালনায় ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে। তা না হলে সব হজ যাত্রীদের দেশে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না,” বলেন শাহাদাত হোসেন।
তিনি আরও বলেন, মোট হজযাত্রীর মধ্যে ৪ হাজার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করবেন এবং বাকিরা বেসরকারি সংস্থার অধীনে হজ করবেন।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী, এ বছর মোট ৫৭ হাজার ৫৮৫ বাংলাদেশি হজ করতে পারবেন। এ বছর ৮ জুলাই থেকে হজ শুরু হতে পারে। তবে, এটি চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল।