বাসস : কিয়ার স্টারমার শুক্রবার ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন। তার মধ্য-বাম বিরোধী লেবার পার্টি ১৪ বছরের ডানপন্থী রক্ষণশীল শাসনের অবসান ঘটিয়ে সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে।
নিজের আসনে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর বিষন্ন চেহারায় ঋষি সুনাক বলেছেন, ‘লেবার পার্টি এই সাধারণ নির্বাচনে জিতেছে এবং আমি স্যার কিয়ার স্টারমারকে তার বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানাতে ফোন করেছি।’
‘আজ, শান্তিপূর্ণভাবে এবং সুশৃঙ্খলভাবে সব পক্ষের মঙ্গল কামনার্থে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে’ উল্লেখ করে টরি নেতা বলেন, নির্বাচনের ফলাফল ‘সঠিক’ হয়েছে এবং তিনি পরাজয়ের দায় মেনে নিয়েছেন।
সেন্ট্রাল লন্ডনে বিজয়ী পার্টির এক সমাবেশে স্টারমার (৬১) উল্লাসরত কর্মীদের বলেছেন, ‘এখানে পরিবর্তন শুরু হয়েছে এবং ‘দেশকে প্রথম, পার্টিকে দ্বিতীয়’ রেখে ‘জাতীয় পুনর্নবীকরণের দশক’ হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি সতর্ক করে বলেছেন, পরিবর্তন রাতারাতি আসবে না, যদিও লেবার অন্তত আটজন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ সারা দেশে টোরি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে।
প্রতিরক্ষা সচিব গ্রান্ট শ্যাপস, সিনিয়র মন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট এবং নেতৃস্থানীয় ব্রেক্সিটার জ্যাকব রিস-মগসহ অন্যান্য বড় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি পরাজিত হয়েছেন।
গ্রীনিচ মান সময় ০৪০০ টায়- ৬৫০ আসনের সংসদে সামগ্রিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় ৩২৬টি আসন অতিক্রম করেছে লেবার। শুক্রবার সকালে চূড়ান্ত ফলাফল আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার গ্রীনিচ মান সময় ২১০০টায় ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পরে প্রকাশিত ইউকে সম্প্রচারকারীদের জন্য একটি বুথ ফেরত জরিপে বলা হয়, ৪১০ আসন এবং ১৭০-আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে লেবারকে ২০১০ সালের পর প্রমবারের মতো ক্ষমতায় ফিরে আসার পথে।
টোরিরা হাউস অফ কমন্সে মাত্র ১৩১টি আসন পাবে যা রেকর্ড কম। ডানপন্থী ভোট দৃশ্যত নাইজেল ফারাজের অভিবাসন বিরোধী রিফর্ম ইউকে পার্টি দ্বারা বিভক্ত করা হয়েছে, যারা ১৩টি আসন পেতে পারে।
প্রত্যাশিত সামগ্রিক ফলাফল ব্রিটেনের নিকটতম পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে একটি ডানদিকের প্রবণতাকে সমর্থন করে। ফ্রান্সে অতি ডানপন্থীরা ক্ষমতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত।
২০১০ সালে ডেভিড ক্যামেরন গর্ডন ব্রাউনকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ব্রিটিশ সংবাদপত্রগুলো প্রথমবারের মতো লেবারদের আসন্ন ক্ষমতায় ফিরে আসার দিকে মনোনিবেশ করেছিল।
previous post