অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসের কারণে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে। কম বয়সে না হলেও বয়স ৩০ পার হওয়ার পর ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সবাই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। সেজন্য পাঁচ ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
১. স্তন ক্যান্সার
৩০ পার হওয়া নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের হানা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক হয়ে উঠছে। স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের চাবিটি থাকে আক্রান্তের কাছেই। শারীরিক কোনো পরিবর্তন চোখে পড়লেই তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। প্রথম থেকেই এ অসুখ নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। স্তনে মাংসপিণ্ড দেখা দেওয়া, স্তনবৃন্তের আশপাশে র্যাশ ও চুলকানি, স্তনের সঙ্গে ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা, স্তনের আকার বদলে যাওয়া এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।
২. মুখের ক্যান্সার
গুটখা, খৈনি, পানমশলা খাওয়ার অভ্যাসই ডেকে আনে এই মারণব্যাধির ঝুঁকি। জেনেবুঝেও এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না অনেকে। এছাড়াও মদ্যপানের কারণে ও হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) সংক্রমণেও এই রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। মুখের ভেতরে সাদা বা লালচে ছোপ, মুখের ভেতরে কোনো ব্যথাহীন ফোলা অংশ, দীর্ঘদিন ধরে জিভ নাড়াতে ও কথা বলতে অসুবিধে হওয়া মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ।
৩. জরায়ুমুখ ক্যান্সার
নারীদের যত ধরনের ক্যান্সার দেখা যায়, তার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনায় সারভাইকাল ক্যান্সার বা জরায়ুমুখ ক্যান্সার রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। এইচপিভি’র কারণে এই মারণরোগ বাসা বাঁধে শরীরে। তবে এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করা ছাড়াও জরায়ুমুখ ক্যান্সারের আরেকটি প্রধান কারণ অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক। ঋতুচক্রের নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ, যৌনমিলনের সময়ে প্রবল যন্ত্রণার সঙ্গে রক্তপাত, তলপেট, কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা এই ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গ।
৪. অণ্ডকোষের ক্যান্সার
পুরুষদের মধ্যে এই ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা যায় ৩০-এর পর। অণ্ডকোষের আকারে হঠাৎ পরিবর্তন কিংবা অবাঞ্ছিত টিউমার বা ফোলা অংশ দেখলেই সতর্ক হতে হবে। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, অণ্ডকোষের ক্যান্সার যেকোনো বয়সেই হতে পারে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।
৫. মেলানোমা
সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বকে এ ধরনের ক্যান্সার হওয়ার ভয় বেশি। ছাতা ব্যবহারে অনীহা, সানস্ক্রিন ব্যবহার না করার অভ্যাসে এ ক্যান্সার হতে পারে। ত্বকের ওপর সন্দেহজনক আঁচিল, তিল গজাতে দেখলেই সাবধান হওয়া প্রয়োজন।