সুফিয়ান ফারাবী, প্রতিবেদক
জ্বালানি তেলের দাম কমেছে প্রতি লিটারে ৫ টাকা করে। সেইসাথে গণপরিবহনের ভাড়াও কমানো হয়েছে কিলোমিটার প্রতি ৫ পয়সা। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আলোচনা দূরে রেখে প্রতি কিলোমিটারে ০.৫ পয়সা ভাড়া কমানোর ঘোষণা কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা।
আবুল হোসেন নামক একজন যাত্রী বলেন, এটা হাস্যকর সিদ্ধান্ত। বাড়ানোর সময় যে অনুপাতে বাড়ানো হয়েছিল এখন কিন্তু সে অনুযায়ী কমানো হয় নি। তাছাড়া লোকাল বাসে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করাও কঠিন। ২০ কিলোমিটারে ১ টাকা কমানো হয়েছে। এই টাকা তো বাসের কন্ডাক্টরের কাজ ফেরত চাওয়াও যায় না। মূলকথা এটা কোন বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নয়।
সুলতানা নামক অন্য যাত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যেটা বলা হচ্ছিল যে বাড়লে আর কমে না সেই কথাটি ভুল দেখানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত। পত্রিকায় কিছু নিউজ হয়েছে, এই ছাড়া ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্ত আর কোন কাজে আসবে না।
এদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি ও দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যখন কমছে তখন প্রত্যাশা ছিল এমন সিদ্ধান্তের যা জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পারে। কিন্তু লিটারে ৫ টাকা মূল্য হ্রাসে সুফলের দেখা পায় নি সাধারণ মানুষজন।
এই পরিস্থিতি আর কতদিন যায় নাকি আরো খারাপ হবে সেটাই বিবেচ্য হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বাজারে লাগাম টানা ও সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বিষয়টি মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকে।