ভারতে হোলি উৎসবের কারণে (১৪ মার্চ) শুক্রবারের জুমার নামাজের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা, কনৌজ, সম্ভলসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মসজিদগুলোতে শুক্রবার দুপুর ২টার পর জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
স্থানীয় ধর্মীয় নেতারা জানান, হোলি উৎসবের সাথে জুমার নামাজের সময়ের মিল থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অযোধ্যার প্রধান ধর্মীয় নেতা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, “হোলি উৎসবের কারণে আমরা সমস্ত মসজিদকে দুপুর ২টার পর নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছি। জুমার নামাজ বিকেল ৪:৩০ টা পর্যন্ত নামাজ পড়ার সুযোগ থাকে।”
বিজ্ঞাপন
banner
তিনি আরও বলেন, “আমি মুসলিম সম্প্রদায়ের সকল সদস্যকে হোলির সময় ধৈর্যশীল এবং উদার থাকার আহ্বান জানিয়েছি। যদি কেউ তাদের গায়ে রঙ লাগায়, তাহলে তাদের হাসিমুখে সাড়া দেওয়া উচিত।
এছাড়া, অযোধ্যার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্র বিজয় সিং জানিয়েছেন, হোলি উৎসবের জন্য শহরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এড়াতে শান্তি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি বলেন, “শহরের সকল হোলিকা দহন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।”
উত্তর প্রদেশের লখনৌ এবং আলিগড়ের ধর্মীয় নেতারাও হোলি উৎসবের কারণে জুমার নামাজের সময় পরিবর্তন করেছেন। লখনৌ ঈদগাহের ইমাম বলেছেন, মুসলিমদের নিকটবর্তী মসজিদে নামাজ পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়।
এদিকে, উত্তর প্রদেশের সম্ভলের একজন সার্কেল অফিসার বিতর্কিত মন্তব্য করে বলেছিলেন, “যারা হোলির রঙে অস্বস্তি বোধ করেন, তাদের ঘরের ভেতর থাকতে হবে, কারণ হোলি বছরেই একবার আসে আর জুমার নামাজ বছরে ৫২ বার হয়।”
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ওই পুলিশ কর্মকর্তার মন্তব্যকে সমর্থন বলেছিলেনৈ, “তিনি হয়তো ‘পালোয়ানের’ মতো কথা বলেছেন, তবে তার কথাগুলো সঠিক।”
এছাড়া, উত্তর প্রদেশের কনৌজ জেলা ও আলিগড়েও মুসলিম ধর্মীয় নেতারা সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে হোলি উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হয় এবং শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
সূত্র: এনডিটিভি