মহানবী (সা.)-এর নাম শুনলে যে আমল করতে হয়

যখন কোনো মজলিস বা আলোচনা সভায় কিংবা কোনো লেখায় হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাম উচ্চারণ করা হয় বা পড়া হয় তখন শ্রোতা বা পাঠককে অন্তত একবার নবীজির ওপর দরুদ পাঠ করতে হবে, তা ওয়াজিব।

একই বৈঠকে বা লেখায় একাধিকবার আলোচিত হলে একবার বলা ওয়াজিব হবে আর একাধিকবার দরুদ পড়া মুস্তাহাব।

এমনটিই রাসূল (সা.) শিক্ষা দিয়ে গিয়েছেন। হাদিস শরিফে এসেছে,

‘আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা.) মিম্বারে আরোহণ করে বলেন, আমীন আমীন, আমীন। তাঁকে বলা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি তো কখনও এরূপ করেননি।

তিনি বলেন, জিবরাল (আ.) বলেন, যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে বা তাদের একজনকে জীবিত পেলো, অথচ তারা তার বেহেশতে প্রবেশের কারণ হলো না, সে অপমানিত হোক। আমি বললাম, আমীন (তাই হোক)।

অতঃপর তিনি বলেন, যে ব্যক্তি রমযান মাস পেলো, অথচ তার গুনাহ মাফ হলো না সে অপমানিত হোক। আমি বললাম, আমীন।

তিনি পুনরায় বলেন, যার সামনে আপনার প্রসঙ্গ উত্থাপিত হলো, অথচ সে আপনার প্রতি দুরূদ পড়লো না সে অপমানিত হোক। আমি বললাম, আমীন।’ (আল আদাবুল মুফরাদ, হাদিস: ৬৫০)

দরুদ হিসেবে যেকোনো দরুদ পড়লেই হবে। আমাদের মাঝে- ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ অধিক প্রচলিত। তা পড়লেও চলবে। (তথ্যসূত্র : আল কোরআনুল কারিম, ৩৩ : ৫৬, তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন, ৭ : ২২৪-২২৫)

দরুদ পাঠের ফজিলত

রাসূলের প্রতি দরুদ পাঠের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ প্রেরণ করবে আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করবেন। (সহিহ মুসলিম)।

অন্য হাদিসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করে আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি দশবার রহমত বর্ষণ করেন, তার দশটি পাপ ক্ষমা করা হয় এবং তার জন্য মর্যাদার দশটি স্তর বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। (নাসায়ী)। রাসূলের প্রতি দরুদ পাঠকারী ব্যক্তি কেয়ামতের দিন রাসূলের কাছে থাকবে। এ সম্পর্কে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে।

তিনি বলেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, কেয়ামত দিবসে লোকদের মধ্যে ওই ব্যক্তিই আমার অধিক নিকটতম হবে, যে ব্যক্তি তাদের মধ্যে আমার প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠ করবে। (তিরমিজি)।

রাসূলের কোনো উম্মত যদি রাসূল (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ করে তাহলে তা ফেরেশতারা রাসূলের কাছে পৌঁছে দেয়। এ সম্পর্কে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, মহান আল্লাহর কিছু সংখ্যক ফেরেশতা রয়েছেন, তারা পৃথিবীতে বিচরণ করতে থাকেন এবং আমার উম্মতের পক্ষ থেকে আমার কাছে সালাম পৌঁছে দেয়। (নাসায়ী ও দারেমি)। অন্য হাদিসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা আমার প্রতি দরুদ পেশ কর। তোমরা যেখানেই থাক না কেন, নিশ্চয়ই তোমাদের দরুদ আমার কাছে পৌঁছবে। (নাসায়ী)।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

জুমার দিন যে সুরা তিলাওয়াত করলে বাঁচা যাবে দাজ্জালের ফেতনা থেকে

নূর নিউজ

বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২২ হাজার ৮৩৩ হজযাত্রী মক্কায় পৌঁছেছেন

নূর নিউজ

স্বাগত, হে মাহে রমজান

আনসারুল হক