ভারতের প্রখ্যাত আলেম ও মুবাল্লিগ মাওলানা কালিম সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করেছে উত্তর প্রদেশ সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (ইউপিএটিএস)। তাকে কোর্টে হাজির করার পর ১৪ দিনের জন্য আদালতের হেফাজতে রাখার নির্দেশ হয়েছে।
এদিকে জমিয়তে উলামা মহারাষ্ট্র-এর পক্ষ থেকে টুইটারে ঘোষণা করা হয়েছে, মাওলানা মাহমুদ মাদানীর নির্দেশে জমিয়তে উলামা মহারাষ্ট্র মাওলানা কালিম সিদ্দিকীর মামলার জন্য লড়বে।
জানা যায়, মাওলানা কালিম সিদ্দিকী মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় লিসারি গেটের হুমায়ুন নগরের ‘মাশাআল্লাহ মসজিদের’ ইমামের বাসায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন। রাত ৯টায় এশার নামাজের পর তিনি তার সাথীদের নিয়ে ফেরার উদ্দেশে রওয়ানা করেন। সময় মতো বাসায় না পৌঁছায় পরিবারের লোকজন তার সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে এই তথ্য ‘মাশাআল্লাহ মসজিদের’ ইমামকে দেয়া হয়। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুরা তাকে খোঁজাখোজি শুরু করে। তবে তার কোন খোঁজ না পাওয়ায় লিসাদী গেট থানায় যান। গভীর রাত পর্যন্ত তারা সেখানে ছিল।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে মাওলানা কালিম সিদ্দিকীকে উত্তর প্রদেশ সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (ইউপিএটিএস)-এর পক্ষ থেকে উঠিয়ে নৌযা হলেও আজ (২২ সেপ্টেম্বর) বুধবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য প্রশান্ত কুমার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মাওলানা কালিম সিদ্দিকীকে কোর্টে হাজির করে তার রিমান্ড চাওয়া হয়, কিন্তু আদালতের পক্ষ থেকে রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর নাকচ করে ১৪ দিনের জন্য আদালতের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এডভোকেট আবু বকর সাবকের মতে, আদালত আইনজীবিদের যুক্তিতর্ক মনোযোগ সহকারে শোনার পরে মাওলানা কালিম সিদ্দিকীর সাথে ইউপিএটিএ‘র ( উত্তর প্রদেশ সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড) আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন এবং রিমান্ড আবেদন প্রত্যাখ্যান করে তাকে ১৪ দিনে জন্য আদালতের হেফাজতে কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এডভোকেট আবু বকর সাবাক আরো জানান, মাওলানা কালিম সিদ্দিকীর মামলা ওমর গৌতম কেসের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। এ কারণে এ মামলার প্রক্রিয়া কিছুটা লম্বা হবে বলে জানান তিনি।