পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন হাতে লিখেছেন ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু কাশ্মিরের এক তরুণ। এছাড়া, লেখার চারপাশে নকশাও হাতে এঁকেছেন তিনি। হুবহু ছাপা অক্ষরের মতো দেখতে তার লেখা এ কোরআন এরইমধ্যে নজর কেড়েছে স্থানীয়দের। ৫’শ মিটার লম্বা কাগজে, পুরো ৩০ পারার কোরআন লেখার এ কাজে সময় লেগেছে দীর্ঘ ৬ মাস। খবর দ্য কাশ্মির মনিটরের।
কে বলবে, এ কোরআন শরিফের পুরোটাই হাতে লেখা? দেখতে হুবহু ছাপা অক্ষরের মতো মুসলিমদের পবিত্র এ ধর্মগ্রন্থের পুরোটাই হাতে লিখেছেন ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের এক তরুণ। ২৭ বছর বয়সী মুস্তফা জামিল নামের এ তরুণ ৫০০ মিটার লম্বা আর সাড়ে চৌদ্দ ইঞ্চি প্রশস্ত কাগজে মোট ৪৫০ পাতায় লিখেছেন ৩০ পারার কোরআন শরীফের ১১৪টি সূরা।
বর্তমানে কাশ্মিরের শ্রীনগরে একটি মসজিদে এ কোরআন প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। মুসলিম তরুণদের কোরআনের প্রতি আগ্রহী করতেই তার এ উদ্যোগ।
এ বিষয়ে কোরআন লেখক মুস্তাফা জামিল বলেন, শুরুতেই আমি আমার হাতের লেখা সুন্দর করা চেষ্টা করি। একসময় নিজের লেখা দেখে আমিই বিস্মিত হই। ভাবি, চাইলে ছেলেরাও সুন্দর লিখতে পারে। এরপরই কোরআন লেখা শুরু করি। পরে মানুষের মুখে আমার লেখার প্রশংসা শুনে ক্যালিগ্রাফি সম্পর্কে ধারণা নেই।
কোরআন লেখার এ কাজের জন্য জামিলের লেগেছে ছয় মাস। বর্ডারের ডিজাইন করতে এঁকেছেন ১৩ লাখ ডট। আর পুরো কাজের জন্য খরচ হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় আড়াই লাখ রূপি। হাতে লেখা কোরআনের জন্য আশপাশের মানুষের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তিনি।
চেন্নাই ভিত্তিক সংস্থা লিঙ্কন বুক অব রেকর্ড এরইমধ্যে জামিলের কাজের স্বীকৃতি দিয়েছে। মূলত অসাধারণ প্রতিভার অধিকারীদের বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে কাজ করে সংস্থাটি। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাতে লেখা কোরআন নয় এটি। এ রেকর্ডের মালিক মিশরের মোহাম্মদ সাদ।