মাদাগাস্কারে ঘূর্ণিঝড় বাতসিরাইয়ের তাণ্ডবের পর ৯২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন ৬১ হাজারের বেশি মানুষ। তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে আরও মৃত্যুর তথ্য আসছে বলে জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা।
জানা গেছে, বাতসিরাইয়ের তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে দেশটির ভারত মহাসাগর উপকূলীয় শহর ইকোঙ্গোতে। ৭১ জনের প্রাণহানি হয়েছে এই শহরেই। ঘরের ছাদ ধসে বেশির ভাগ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গাছ-পালাসহ নষ্ট হয়েছে বিপুল পরিমাণ ফসল। ঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০টি সড়ক ও ১৭টি ব্রিজ ভেঙে গেছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অন্তত এক লাখ ১২ হাজার মানুষের জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা প্রয়োজন। খবর- এবিসি।
এরই মধ্যে সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেছে জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ।
এবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শনিবার রাতে ঘূর্ণিঝড়টি দ্বীপটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে আঘাত হানে। এরপর ঘরবাড়ি, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে ফেলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয় দেশটি।গৃহহীন হয়ে পড়েছেন ৬১ হাজারের বেশি মানুষ। এতে ব্যাহত হচ্ছে সহায়তা কার্যক্রম।
এর আগেও দ্বীপটিতে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আনা। এর তাণ্ডবে ৫৫ জন নিহত ও এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছিল।
প্রায় তিন কোটি জনসংখ্যার দেশ মাদাগাস্কারের দক্ষিণাঞ্চলে দীর্ঘ দিন ধরেই চলছিল মারাত্মক খরা। বাতসিরাইয়ের তাণ্ডবে প্রায় পাকা ধান, ফল ও অন্যান্য শাকসবজি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে উঠেছে বলে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতে দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের বিস্তৃত এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। ১২টি সড়ক ও ১৪টি সেতু ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর তাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।