মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত কায়সারের মৃত্যু

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

বিএসএমএমইউ এর মিডিয়া উইংয়ের চিফ ড. এস এম ইয়ার-ই-মাহবুব জানান, শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার মারা যান। বিএসএমএমইউতে মর্গ না থাকায় ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সৈয়দ কায়সারকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও বহাল থাকে। তবে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আপিল করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৫ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর একই দিনই তাকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গণহত্যার একটি, হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি ও ধর্ষণের দুটিসহ মোট ১৬টি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়, যার মধ্যে ১৪টি ট্রাইব্যুনালের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আদালত কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দেন।

এছাড়া ১, ৯, ১৩ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ২ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর, ৭ নম্বরে সাত বছর ও ১১ নম্বরে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ৪ ও ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ অভিযোগগুলোতে খালাস দেওয়া হয় তাকে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে আল্লামা শফী অনুসারীদের পাঁচ দফা দাবি

আনসারুল হক

তফসিল ঘোষণার অনুকূল পরিবেশ আছে : ইসি সচিব

নূর নিউজ

আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ইন্তেকালে হেফাজতের শোক

নূর নিউজ