মালদ্বীপে কারাগারে দিন কাটছে শতাধিক বাংলাদেশির

বন্দি বিনিময় চুক্তি না থাকায় ভাগ্য বদলে মালদ্বীপে গিয়ে কারাগারে দিন কাটছে শতাধিক বাংলাদেশির। যাদের অনেকেই প্রতারণার শিকার বলে দাবি স্বজনদের।

উন্নত জীবনের আশায় মালদ্বীপে কাজ করতে এসে বাছরের পর বছর বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন প্রায় একশ’ বাংলাদেশি। যাদের মধ্যে কারাগারে আছেন ৭০ জন, বাকি ৩০ জন বন্দিশিবির বা ডিটেনশন সেন্টারে।

বন্দিদের বেশিরভাগই মাদক মামলার আসামি। দালাল আর মাদকচক্রের খপ্পরে পড়ে বিমানবন্দর থেকে আটক হন অনেকে। পরিবারের দাবি বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময়ই গোপনে তাদের লাগেজে মাদক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলায় কারাভোগের ঘটনাও রয়েছে। তবে স্বজনদের অভিযোগ, অনেক প্রবাসী একটি চক্রের কারণে জেল খাটছেন।

এমনই এক কারাবন্দির মা বলেন, দালালে চক্রান্ত করে আমার ছেলেটাকে জেলখানায় ফেলেছে। অবৈধ মাল দিয়ে ২৫ বছরের জেল দিয়ে দিছে। আমি আর ধৈর্য ধরে থাকতে পারছি না। দালালদের ধরতে পারছি না।

স্বজনদের আরেকজন বলেন, আজকে সাত বছর যাবত মালদ্বীপের জেলখানায় আছে। তার ২৫ বছরের সাজা হইছে। আপনারা আমার ভাইকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন।

বন্দি প্রবাসীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

কারাবন্দি একজনের মা বলেন, আমার একটাই ছেলে। ছয় বছর ধরে কোনও খোঁজ খবর পাই না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই, আমার ছেলেকে যেন আমার কাছে ভিক্ষা দেন।

ডিটেনশন সেন্টারে থাকা ব্যক্তিদের দেশে ফেরত পাঠাবে মালদ্বীপ। বাকিদের ওই দেশের আইনেই সাজা খাটতে হবে বলে জানান মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাই কমিশনার।

তিনি বলেন, ১০০ জনের কাছাকাছি বাংলাদেশি মালদ্বীপের কারাগারে আছেন। আমরা চেষ্টা করছি একটা বন্দি বিনিময় চুক্তি করতে।

প্রবাসে গিয়ে বাংলাদেশিরা যেন অপরাধে জড়িয়ে না পড়েন, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কাতারে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলরের বাবার জন্য আল-নূর কালচারাল সেন্টারের দোয়া মাহফিল

নূর নিউজ

কাতারের মাতার কাদিমে হুমায়দি রেস্টুরেন্ট ও হুমায়দি প্রিন্টিং এন্ড সার্ভিস সেন্টারের উদ্বোধন

নূর নিউজ

কাতারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি সম্পন্ন

আনসারুল হক