সাম্প্রতিককালে ঢাকা প্রায় সময় শব্দ দূষণে শীর্ষ তালিকায় উঠে আসে। গড়ে ১৪ ঘণ্টা সময় ধরে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রায় শব্দদূষণ হয় ঢাকায়। গণপরিবহন, প্রাইভেট কার, বাইক, রিক্সার অযাচিত হর্ণ, বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, বিয়ে-বিনোদন, মাহফিলে মাইকের শব্দ পরিমিত না রাখাও শব্দ দূষণের অন্যতম একটি কারণ। এসবের কারণে কষ্ট পোহাতে হয় শিশু, বৃদ্ধদের। অনেক সময় পরীক্ষার্থীদেরও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
এ নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, সম্মানিত ওয়াজ মাহফিলের আলোচক ও আয়োজকবৃন্দ, এসএসসি, দাখিল ও বেফাক পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রেখে মাহফিলের মাইক নিয়ন্ত্রণ করুন। সম্ভব হলে মাইক প্যান্ডেলের মধ্যে সীমিত রাখুন, অথবা বাহিরের মাইকের ভলিউম কমিয়ে রাখুন। কোন অবস্থাতেই দূর-দুরান্ত পর্যন্ত মাইক লাগিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত মাহফিল করবেন না।
তিনি বলেন, আমাদের অসচেতনতা যেন ইসলামের ব্যাপারে মানুষকে বীতশ্রদ্ধ করে না তোলে। মুসলিম জীবনে ওয়াজ ও নসীহার গুরুত্ব অপরিসীম। তবে সবকিছুই হওয়া উচিত ইসলামের নির্দেশনা মেনে। ওয়াজ-নসীহার মতো একটি ইবাদত যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়, এ বিষয়টি আমাদের গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত।
তিনি আরও বলেন, এর পাশাপাশি বিয়ে-বিনোদন, রাজনৈতিক প্রচারণা, গাড়ির অযাচিত হর্নসহ যে কোন শব্দদূষণ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটে, তা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক ও সামাজিক সক্রিয় কর্মী। তিনি আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জাপান, ভারত ও আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের দাওয়াতি কাজে অংশগ্রহণ করেছেন।
শিক্ষাজীবন শেষ করার পর তিনি ২০০৩ সালে দারুর রাশাদ মিরপুর কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন, পাশাপাশি নিকটস্থ মিরপুরের বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে ইমামতি ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৯ সালে ঢাকা ত্যাগ করে সৌদি আরবে গমন করেন এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতায় পশ্চিম দাম্মাম ইসলামি দাওয়াহ কেন্দ্রে অনুবাদক ও ধর্ম প্রচারক হিসাবে যোগদান করেন। তবে সেখানে ১০ বছর কাজ করার পরে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
দেশে এসে তিনি আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নামক সমাজসেবী সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব এবং পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের ভূমিপল্লী জামে মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন।