পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকারীদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করা হবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আজ (শনিবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। ড. আব্দুল মোমেন বলেন, মুহিবুল্লাহ নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত যেতে চেয়েছিলেন, সেকারণে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডে যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিকে, আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের নেতা মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেছে তুরস্ক। আজ (শনিবার) তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে তুরস্কের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বর্বরোচিত এ হত্যার ঘটনায় ইতোমধ্যে জাতিসংঘ, আমেরিকা, ব্রিটেনসহ একাধিক দেশ ও সংস্থা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেই সঙ্গে এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার লম্বাশিয়ায় অবস্থিত আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস অফিসে একদল অজ্ঞাত পরিচয় অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাদের শীর্ষ স্থানীয় নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার পর পালিয়ে যায়। মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান ছিলেন। এই সংগঠনের হয়ে তিনি রোহিঙ্গাদের অধিকারের কথা তুলে ধরতেন। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিলেন তিনি।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মুহিবুল্লাহর ভাই হাবিবউল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. ছলিম (২৭) ওরপে লম্বা ছলিম নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেফতার করেছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)। ঘটনার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। শুক্রবার গ্রেফতারের পর তাকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।