মিশিগানে কমিউনিটি কলেজে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সফলতা

আমেরিকার মিশিগানের ওয়েইনকাউন্টি কমিউনিটি কলেজের গ্র্যাজুয়েশন কোর্সে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। এতে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। গ্র্যাজুয়েশন শেষে কর্মক্ষেত্রে সফলতার মুখ দেখছেন তরুণ পেশাজীবীরা। এছাড়া তারা ভর্তি হচ্ছেন ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।

শনিবার (১০ জুন) জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ওয়েইনকাউন্টি কমিউনিটি কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশি কমিউনিটির গ্র্যাজুয়েটদের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই বিবাহিত। জীবিকার তাগিদে তারা নানা পেশায় যুক্ত থাকার পরও কাজের ফাঁকে পড়াশোনা করে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। কর্মক্ষেত্রেও পেয়েছেন সফলতা। আনুষ্ঠানিক ডিগ্রি লাভের পর দশক সারিতে থাকা গ্র্যাজুয়েটদের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন উচ্ছ্বসিত।

অনুষ্ঠানের দশক সারিতে বসা সেলিনা কবির চৌধুরী বলেন, আজ আমার স্বামী গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি সার্টিফিকেট গ্রহণ করছে। এটি অন্যরকম এক অনুভূতি। আমি সত্যিই আনন্দিত।

এ প্রসঙ্গে ওয়েইনকাউন্টি কমিউনিটি কলেজের বোর্ড অব ট্রেজারি এএসএম এন রহমান বলেন, এক দশক আগেও শিক্ষাব্যবস্থায় প্রবাসী বাংলাদেশি পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ কম ছিল। সে অবস্থানের অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। নতুন প্রজন্মের পাশাপাশি তরুণ পেশাজীবীরাও শিক্ষায় অংশগ্রহণ বাড়ছে। মিশিগানে ৩১টি পাবলিক কমিউনিটি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে ওয়েইন কাউন্টি কমিউনিটি কলেজ থেকেই ১০০ জনের বেশি বাংলাদেশি ও অ্যারাবিক শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মিশিগান স্টেট সেক্রেটারি বেনসনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১২০০ গ্র্যাজুয়েটের সঙ্গে কয়েক হাজার স্বজনদের উপস্থিতি ঘটেছে।

গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রিধারী শাজাহার হোসেন আহমেদ জানান, কমিউনিটি কলেজ থেকে সাশ্রয়ী খরচে দুই বছর মেয়াদি গ্র্যাজুয়েশন করা যায়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক প্রণোদনার পাশাপাশি কম আয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা পয়সায় পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। গেল বছর তার স্ত্রী সেলিনা কবির চৌধুরী ও এ বছর তিনি গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। কোনো টাকাপয়সা লাগেনি। উলটো স্টাইপেন্ড হিসেবে প্রতি মাসে ৯৬০ ডলার করে পেয়েছেন। আরলি চাইল্ডহোড নিয়ে সার্টিফিকেট অজনে দারুণ খুশি তিনি। ডিগ্রি অর্জন করায় তার স্ত্রী সেলিনা কবির চৌধুরী ও তার শিক্ষক হিসেবে চাকরি হয়েছে।

উবায়দুর রহমানের দুই কন্যা শাহিমা তাসমিন রহমান ও মায়শা তাসমিন রহমান জেনারেল স্টাডিজে গ্র্যাজুয়েশন করে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানে সাইবার সিকউরিটি বিষয়ে পড়ছে। উবায়দুর রহমান বলেন, শুধু শুধু অর্থের পেছনে না দৌড়ে অভিভাবকদের উচিত বাচ্চাদের পড়াশুনায় আগ্রহী করে তোলা। কারণ আমাদের এই প্রজন্ম অনেক মেধাবী। তারা পরীক্ষায় অনেক ভালো রেজাল্ট করছে।

পরিবার-পরিজন নিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসেছেন ডিগ্রিপ্রাপ্ত মিনতি চৌধুরী। ফল ভালো হওয়ায় গোল্ডেন ট্রাসেল মেডেল পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত তিনি। তিনি জানান, গ্র্যাজুয়েশন শেষ হওয়ায় ইলিমেন্টারি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেয়েছেন। ২০১৯ সালে আমেরিকা এসে করোনা মহামারির মধ্যে পড়ে হতাশ হয়েছিলেন বলে জানান মিনতি। তবে গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে ভালো লাগছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আমেরিকা যাওয়ার পথে মেক্সিকো সীমান্তে বাংলাদেশির মৃত্যু

নূর নিউজ

আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ কাতার শাখার অভিষেক ও সংবর্ধনা

নূর নিউজ

বাংলাদেশসহ ১১৬ দেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ সতর্কতা

আনসারুল হক