পরস্পরের দেখা সাক্ষাতের সময় মুসাফাহা বা করমর্দন করা একটি ইসলামী রীতি ও সংস্কৃতির অংশ। মুসাফাহার মাধ্যমে পরস্পরের মাঝে ভালবাসা ও হৃদ্যতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
মুসাফাহা মুসলমানদের পারস্পারিক হিংসা-বিদ্বেষ ও কলহ দূর করে। মুসাফাহার ফজিলতের ব্যাপারে এক হাদিসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘কোন মুসলিম সাক্ষাতের সময় পরস্পর মুসাফাহা করলে তারা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্বেই তাদের পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৫২১২)
সাহাবিদের সমাজে মুসাফাহার সুন্নতটি ব্যাপক সমাদৃত ছিল। কাতাদা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি আনাস বিন মালিক রা.-কে বললাম,
‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবিদের মাঝে কি মুসাফাহার প্রথা ছিল? তিনি বলেন: হ্যাঁ। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬২৬৩)
ইবনে বাত্তাল বলেন, সর্বস্তরের আলেমদের মতে, মুসাফাহা একটি নেক কাজ। নববী বলেন: সাক্ষাতের সময় মুসাফাহা করা সুন্নত এ বিষয়ে ইজমা বা আলেমদের ঐক্যমত্য সংঘটিত হয়েছে। (ফাতহুল বারী,১১/৫৫)
মুসাফাহা করার সুন্নত পদ্ধতি হলো উভয় হাত দিয়ে মুসাফাহা করা। যদিও ইদানীং কেউ কেউ এক হাতের পক্ষে কথা বলেন।
ইবনে ওমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. যখন কাউকে বিদায় দিতেন তখন তার হাত ধরে মুসাফাহা করতেন।
ওই ব্যক্তি হাত সরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত নবীজি নিজের হাত সরিয়ে নিতেন না। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৪২)
মুসাফাহা করার সময় আল্লাহর প্রশংসা এবং দরুদ পাঠের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। আর মুসাফাহা করার সময় এই দোয়া পাঠ করা উত্তম—‘ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়া লাকুম।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫২১৩)