দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ইসলামের নাম-নিশানা মুছে দিতে একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। ইসলামী শিক্ষা ও ইসলামী ব্যক্তিদেরকে কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও দেশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। দেশের সম্পদ লুটেপুটে বিদেশে পাঁচারকারীদেরকে বর্জন করুন। দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের বর্জন করে রাষ্ট্রে আলেম সমাজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সকল দল ও সামাজিক সংগঠনকে বৃহত্তর স্বার্থে ইসলামের পক্ষে সম্পৃক্ত করার গুরুদায়িত্ব ওলামায়ে কেরামকে পালন করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধে হযরত ওলামায়ে কেরামের ভুমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি হাফেজ মাওলানা ইউনুছ ঢালীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুফতী বাছির উদ্দিন মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মুফতি আবু সাঈদ মজহারী, মুফতি মঈন উদ্দিন খান তানভীর, মাওলানা নোমান আল হোসাইনী, মুফতি রফিকুল ইসলাম আশরাফী, মুফতি আরিফ মাহমুদ হাবিবী, মাওলানা ইমরান হোসাইন, মুফতি মাসুম মাহমুদী, মাওলানা ওমর ফারুক, এইচ এম শাহরিয়ার প্রমূখ।
ওলামা মাশায়েখ নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশ, ইসলাম ও মানবতা হুমকির মুখে এমনকি স্বাধীনতাও আজ হুমকির মুখে। তারা বলেন, ভারতের মোদির সংস্কৃতি এদেশে বাস্তবায়ন চায় সরকার। এজন্য সিলেবাসে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠারচক্রান্ত চলছে। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ভারতের আদলে সিলেবাস থেকে ইসলামী শিক্ষাকে গুরুত্বহীন করে দিয়ে ধর্মহীন জাতি গঠনে কাজ করছে। দিপু মনির পদত্যাগ সময়ের দাবি।