বর্তমান সময়ে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, ইসলামী সংগীতসহ নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আলোড়ন ছড়িয়েছেন বিশ্বখ্যাত কারি ফাতিহ সেফেরাজিক। বসনিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান এ তরুণ সুললিত কণ্ঠে ইউরোপের দেশগুলোতে ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরছেন।
বর্তমানে কাতারজুড়ে চলছে ফুটবল বিশ্বকাপের আমেজ। বিশ্বকাপ শুরুর পর দোহার বিভিন্ন স্থানে ফাতিহকে ফুটবল ফ্যানদের কোরআন শোনাতে দেখা গেছে। বিশেষত দোহা মেট্রোতে মরোক্কান ফ্যানদের সামনে তার তিলাওয়াতের ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। তার কোরআন তিলাওয়াতের পর ইসলামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে এক মেক্সিকান ভক্ত ইসলাম গ্রহণ করেন। স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রচারণার অংশ হিসেবে পতাকা হাতে তার একটি ছবি ভাইরাল হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আলোড়ন ছড়িয়ে এসব কার্যক্রম ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
১৯৯৫ সালের ১ মার্চ জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন ফাতিহ সেফেরাজিক। মাত্র চার বছর বয়সে তার পরিবার যুদ্ধবিধ্বস্ত বসনিয়া ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমায়। ৯ বছর বয়সে তিনি স্থানীয় হিফজ মাদরাসায় পড়া শুরু করেন। ১৩ বছর বয়সে মেরিল্যান্ড শহরের ইসলামিক সোসাইটি অব বাল্টিমোর থেকে হিফজ সম্পন্ন করেন। সেখানে তিনি শায়খ কারি মুহাম্মদ জাহিদ ও মুহাম্মদ আবিদের তত্ত্বাবধানে কোরআন হিফজ করেন।
এ সময় তার পরিবার বাল্টিমোরেই বাস করত। এরপর তিনি টেক্সাসের ডালাসে ওস্তাদ নোমান আলী খানের বাইয়িনাহ ড্রিম ইনস্টিটিউটে আরবি বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ব্যক্তিজীবনে কানসাস রাজ্যের স্টিলওয়েল শহরের বাসিন্দা আয়াত ইউসুফ তাঁর স্ত্রী।
ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কারি ফাতিহ সেফেরাজিকের রয়েছে কয়েক লাখ ফলোয়ার।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে ইউটিউবে কোরআন তিলাওয়াতের ভিডিও প্রকাশের পর থেকে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ফাতিহ সেফেরাজিক। তার ইউটিউব চ্যানেলে (Fatih Seferagic) ৯ লাখের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। এতে তিনি কোরআন তিলাওয়াত ও বিভিন্ন আলোচনা আপলোড করেন। ইনস্টাগ্রামে (therealfatih) ১৮ লাখ এবং ফেসবুকে (Fatih Seferagic) ২০ লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে ফাতিহের।