ইউক্রেনকে নতুন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ঘোষণা দেওয়ার পর রাশিয়া অভিযোগ করেছে যে, ইউক্রেনে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবেই উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের নেতাদের ফিরে আসার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখবে না।
বিবিসির প্রতিবেদন বলা হয়েছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভও যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেন, বাইডেনের ঘোষণা তৃতীয় কোনো দেশের ইউক্রেন সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে।
অন্যদিকে জার্মান সরকার ইউক্রেনে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠানোর অঙ্গীকার করেছে। দেশটির চ্যান্সেলর বলেন, আধুনিক এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেন তাদের পুরো শহরকে রাশিয়ার বিমান হামলা থেকে রক্ষা করতে সমর্থ হবে।
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পেলে সেটি ইউক্রেনকে দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এটি আগে দিতে ইচ্ছুক ছিল না এই ভয়ে যে এটি রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে ব্যবহার করা হতে পারে।
যদিও এখন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তেমন কিছু না করার বিষয়ে কিয়েভ নিশ্চয়তা দিয়েছে। বুধবার জো বাইডেন বলেছেন, মারণাস্ত্র রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় ইউক্রেনকে শক্তিশালী করবে এবং একটি কূটনৈতিক সমাধানের পথ সুগম করবে।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইউক্রেনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া নতুন এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে এম ১৪২ ‘হাই মবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম’ বা এইচআইএমএআরএস।
কর্মকর্তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে অস্ত্র সরবরাহ করবে তা ৭০ কিলোমিটার দূর থেকে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এসব অস্ত্র রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলায় ব্যবহৃত হবে না নিশ্চিত করার পরই যুক্তরাষ্ট্র তা সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।