একের পর এক অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত বন্দুক হামলার ঘটনায় অন্তত ১৭ জন নিহত ও ৬২ জন আহত হয়েছেন। এসময় আমেরিকায় মোট ১১টি বন্দুক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
এগুলোর মধ্যে ফিলাডেলফিয়া শহরে দুই ব্যক্তির মাঝে ঝগড়ার এক পর্যায়ে বন্দুক সহিংসতা শুরু হয় এবং তারা এত ব্যাপক মাত্রায় গুলিবর্ষণ করে যে, আশেপাশের রেস্টুরেন্ট এবং বারগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে তিন ব্যক্তি নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের দুজন এবং আহতরা সবাই পথচারী জানা গেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টিতে পারিবারিক সহিংসতার জেরে এক নারী ও তার ছয় বছর বয়সী সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া, ফ্লোরিডার মিরামার সিটিতে বন্দুক সহিংসতায় একজন ও কেন্টাকির শাইভ্লি সিটিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির বল্ডউইন পার্কের একটি বাড়ি থেকে এক নারী ও এক শিশুর গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও গোয়েন্দাদের ধারণা পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন এ দুজন।
পুলিশ জানিয়েছে, দুজনের শরীরের ওপরের অংশে গুলির চিহ্ন পেয়েছেন তারা। গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই ওই নারীর মৃত্যু হয়। তবে শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করার পর সে মারা যায়।
এদিকে ফ্লোরিডার মিরামার সিটির উইন্ডসর পামস এলাকার একটি বাড়ি থেকে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তি ওই বাড়ির মালিকের পরিচিত ছিল এবং মালিকের এক আত্মীয়ের ছোঁড়া গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে পেনসিলভেনিয়ার ল্যাংকাস্টারে, ডেপুটি শেরিফের গুলিতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, কেন্টাকির শাইভলি সিটিতে, আততায়ীর গুলিতে এক বাইসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।
টেক্সাসের সেন্ট অ্যান্টোনিও সিটির গোল্ডেন অ্যাভিনিউয়ে, চলন্ত গাড়ি থেকে ছোঁড়া গুলিতে এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। রবিবার রাত তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
ওইদিন সকালে মিশিগানের সাগিয়ানাও শহরে আরেকটি গণ-গুলির ঘটনায় তিনজন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন। সেখানে হতাহতদের পাঁচজনই গোলাগুলিতে জড়িত হয়েছিলেন।