যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক স্টেটের পরই মিশিগান স্টেট যেখানে প্রায় ৭০ হাজার বাংলাদেশির বসবাস। সব থেকে যে সিটিতে বাংলাদেশিদের বসবাস বেশি হ্যামট্রাম্যাক সিটিতে সেখানে ইতোমধ্যে নির্বাচনী উৎসব শুরু হয়ে গেছে। করোনাভাইরাসের মধ্যেই এই উৎসবে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ছে। শুরু হয়েছে প্রচার-প্রচারণাও।
আগামী ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে হ্যামট্রাম্যাক সিটি নির্বাচন। শহরের বর্তমান মেয়র কারেন মাজেউভস্কি আবারও জয়ী হওয়ার আশায় লড়াই করছেন। তবে তাকে আরও তিনজন প্রার্থীর মুখোমুখি হতে হবে। আরও একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। তিনি হ্যামট্রাম্যাক রিভিউ’র প্রকাশক জন উলাজ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন প্রার্থী এবং তিনটি উন্মুক্ত সিটি কাউন্সিলের আসনের জন্য লড়ছেন আটজন প্রার্থী। হ্যামট্রাম্যাকের মেয়র প্রার্থীরা হলেন সাদ আলমাসমারি, যিনি বর্তমানে নিয়োগ পাওয়া সিটি কাউন্সিলের সদস্য। আগে হ্যামট্রাম্যাকের সিটি কাউন্সিলে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
আমির গালিব, একজন স্থানীয় চিকিৎসক। যিনি সর্বপ্রথম মেয়র পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছিলেন। আসম কামাল রহমান, সাবেক মেয়র প্রার্থী এবং এই শহরের মানুষের পক্ষের একজন বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর এবং বাংলাদেশী হিসাবে একমাত্র মেয়র প্রার্থী। কারেন মাজেউস্কি, হ্যামট্রাম্যাকের বর্তমান মেয়র এবং টেকলা ভিনটেজ পোশাকের মালিক। তার হারের রেকর্ড নেই। যদি হারেন তাহলে সেটা হবে পরাজয়ের মাধ্যমে তার রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার ঘটনা। তাই তিনি তার পদটি ধরে রাখতে সব রকম চেষ্টা চালাবেন।
হ্যামট্রাম্যাক সিটি কাউন্সিলের প্রার্থীরা হলেন :
মুহিত মাহমুদ, মিশিগান বাংলাদেশী আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক ককাসের প্রেসিডেন্ট এছাড়া বাংলাদেশি কমিউনিটিতে তার রয়েছে ক্লিন ইমেজ। কোডি লাউন, ডেট্রয়েট পাবলিক স্কুলের কে-১২ এর শিক্ষক। লিনেট ব্লেসি, কলেজ ফর ক্রিয়েটিভ স্টাডিজের জন্য কমিউনিটি আর্টস পার্টনারশিপের কো-অর্ডিনেটর। অ্যাডাম আলবারমাকি, ওয়েইন স্টেট ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। আমানদা জ্যাককোভস্কি, ওয়েইন স্টেট ইউনিভার্সিটির পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে মাস্টার্সের ছাত্র। আবু আহমেদ মুসা, সাবেক হ্যামট্রাম্যাক সিটি কাউন্সিল সদস্য এছাড়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত তিনি। খলিল রেফাই, ইয়ামারিকান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটির সভাপতি। আরমানি আসাদ, ব্যবসায়ী ও সংগঠক। এছাড়া করোনা সময় সম্মুখসমরে তাকে কমিউনিটির বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার কাজে দেখা গেছে। সেই সুবাদে বাংলাদেশিসহ অন্যান্য কমিউনিটিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে তার।