প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান পবিত্র ওমরা পালন করতে সৌদি আরবে যান। তাদের মধ্যে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি ওমরাযাত্রীও রয়েছেন। তবে এতদিন ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরতে পারলেও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধের কারণে অনেকে সৌদি আরবে আটকা পড়েছেন। এসব অসহায় ফিলিস্তিনির কথা মাথায় রেখে তাদের ছয় মাসের জন্য দেশটিতে বসবাসের অনুমতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। খবর গালফ নিউজের।
সৌদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
ফিলিস্তিনি মন্ত্রণালয় বলছে, নিরাপদে দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত সৌদি সরকারের এই উদ্যোগ যুদ্ধের ভুক্তভোগী ফিলিস্তিনিদের সাময়িক স্বস্তি দেবে। গত অক্টোবর থেকে চলমান গাজা যুদ্ধ ঘিরে তৈরি হওয়া সংকটের সময়ে এমন সিদ্ধান্তের তাৎপর্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে মন্ত্রণালয়।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে ১৩০ জনের মতো বন্দি আছেন।
অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৮২ জনে পৌঁছেছে। এ ছাড়া এ পর্যন্ত আহত হয়েছে ৭০ হাজার ৪৩ জন।