পটাশিয়াম আমাদের শরীরের জন্য একটি অপরিহার্য খনিজ। আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ঠিকমতো কাজ করতে এটি অনেক ভূমিকা রাখে। এর মধ্যে পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যকর স্নায়ু ফাংশন বজায় রাখা এবং তরল ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করা হচ্ছে পটাশিয়ামের অন্যতম কাজ।
পানি কম খেলে, অত্যধিক বমি অথবা ডায়রিয়া হলে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে। বয়স্কদেরও হঠাৎ হঠাৎ এমন সমস্যা হতে পারে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে অন্য উপায় থাকে না। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, সাধারণ খাবারের মধ্যে দিয়েই কিন্তু এই উপাদান শরীরে যেতে পারে।
• প্রতিদিন একটি করে কলা খেলেই পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। পুষ্টিবিদরা বলেন, মাঝারি মাপের একটি কলায় ৪০০ থেকে ৪৫০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম রয়েছে। যা শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন করার জন্য যথেষ্ট।
• মিষ্টি আলুতে যথেষ্ট পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে।
• ভিটামিন সি-এর ঘাটতি পূরণ করতে শীতে কমলালেবু খুব ভালো একটা ফল। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, পটাশিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো কমলালেবু। একটি কমলালেবুতে প্রায় ২৩০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে।
• পুষ্টিবিদরা বলেন, এক কাপ পালং শাক নিয়মিত খেতে পারলে শরীরে পটাশিয়ামের অভাব হবে না। প্রায় ৮০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম রয়েছে এই শাকে।