যে কারণে অস্ট্রেলিয়ায় ইসলামিক স্কুল জনপ্রিয়

অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিবছর বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা। দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান মতে মুসলিমদের সংখ্যা ৮ লাখ ১৩ হাজার ৩৯২ জন, যা মোট জনসংখ্যার ৩.২০। ফলে সেখানে ইসলামিক স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষায় সচেতন করে গড়ে তুলতে এসব স্কুলে ভর্তি করাচ্ছেন প্রবাসী মা-বাবারা।

গত এক দশকে দেশটির পাবলিক স্কুলগুলোর তুলনায় ইসলামিক স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছয় গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা কারিকুলাম অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড রিপোর্টিং অথরিটি (এসিএআরএ)।

ইসলামিক কলেজ অব ভিক্টোরিয়ায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ হাজার ৬৮৪ থেকে বেড়ে ১২ হাজার ৩১৮ জন বেড়েছে। আত-তাকওয়া কলেজ নামে পরিচিত এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী বৃদ্ধির হার ৮৪ শতাংশ। ১৯৮৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশের ট্রুগানিনা এলাকায় আত-তাকওয়া কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ৫০ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সর্ববৃহৎ ইসলামিক কলেজ হিসেবে পরিচিত।

মুসলিম কমিউনিটির শিশুদের ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে তা প্রতিষ্ঠা করা হয়।

শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধান সংখ্যা সামনে আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন কলেজের অর্থ বিভাগীয় প্রধান কারিম বুদাই।

তিনি বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একাডেমিক দক্ষতার পাশাপাশি ইসলামী মূল্যাবোধ তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমরা অস্ট্রেলিয়ার পাঠ্যসূচি অনুসরণের পাশাপাশি ইসলাম ও কোরআন শিক্ষার পাঠ্যসূচিও অনুসরণ করি। ইসলাম শিক্ষার অংশ হিসেবে শিক্ষকদের সঙ্গে জোহরের নামাজে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। সন্তানদের এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে মা-বাবারা নিশ্চিন্তে থাকেন। কারণ আমাদের প্রতি তাদের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষার্থী মুসলিম হলেও অমুসলিমরাও এখানে নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করে।

ইসলামিক কাউন্সিল অব ভিক্টোরিয়ার উপপ্রধান ড. আদিল সালমান বলেছেন, ‘মূলত ইসলামের মৌলিক শিক্ষায় গড়ে তুলতেই মা-বাবারা ইসলামিক স্কুলগুলোতে সন্তানদের ভর্তি করাতে বেশি আগ্রহী। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে বসবাসরত প্রবাসী পরিবারগুলো এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি সচেতন। ’

এছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় বেশ কয়েকটি ইসলামিক কলেজ রয়েছে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী পার্থে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান ইসলামিক কলেজ ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেশন অব ইসলামিক কাউন্সিল-এর গৃহীত প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামিক কলেজ অব ব্রিসবেন।

২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ল্যাংফোর্ডের ইসলামিক কলেজে প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত রয়েছে। মেলবোর্নে অবস্থিত মিনারেট কলেজ ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় যা বড় ইসলামিক কলেজগুলোর অন্যতম।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

পাকিস্তানে সব আসনের ফল ঘোষণা, কার অবস্থান কোথায়

নূর নিউজ

গাজার বাসিন্দাদের আফ্রিকায় পাঠাতে চায় ইসরায়েল

নূর নিউজ

বিরোধীদের ‘ছদ্মবেশী জোটে’ ভোটারদের না পড়ার আহ্বান এরদোগানের

নূর নিউজ