আম কাঁচা অথবা পাকা যেভাবেই খাওয়া হোক তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে অনেক ক্ষেত্রে পাকা আমের চেয়ে কাঁচা আমের গুণ আরও বেশি। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে কিছুটা স্বস্তি পেতে আমের শরবত খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। সরাসরি কিংবা চাটনিতে দিয়েও কাঁচা আম খান অনেকেই।
জেনে নিন কাঁচা আমের কিছু উপকারিতা:
১. কাঁচা আম ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। যা চোখের দৃষ্টি বাড়াতে সাহায্য করে, রাতকানা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে এবং চোখ ভালো রাখে।
২. আমে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স। এই ভিটামিন শরীরের মাঝগুলোতে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। শরীরকে রাখে সতেজ। ঘুম আসতে সাহায্য করে।
৩. আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ বেশি।
৪. আমে খনিজ লবণের উপস্থিতিও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। দাঁত, নখ, চুল, মজবুত করার জন্য আমের খনিজ লবণ উপকারী ভূমিকা পালন করে ও হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
৫. প্রতিদিন আম খেলে দেহের ক্ষয় রোধ হয় ও ঘূলতা কমিয়ে শারীরিক গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।
৬. আম খেলে স্থূলকায় ব্যক্তিদের রক্তে শর্করার পরিমাণ হ্রাস পায় এবং দেহে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৭. ত্বকের যত্নেও আম অনেক উপকারি। আম খেলে লোমের গোড়া পরিষ্কার হয়। ফলে ব্ৰণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং ত্বক উজ্বল করে।
৮. কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় রক্তস্বল্পতা সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও কাঁচা আম দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দাঁতের রোগ প্রতিরোধ করে। কিডনির সমস্যা প্রতিরোধসাহায্য করে। লিভার ভালো রাখে, পটাশিয়ামের অভাব পূরণকরে ও অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করে।