যে কারণে সন্দেহযুক্ত খাবার পরিহার করতেন আকাবিরে দেওবন্দ

মাওলানা মুযাফফার হুসাইন রাহিমাহুল্লাহু তাআলার ঘটনা। তিনি সবসময় তাকওয়ার উপর চলার চেষ্টা করতেন। একনিষ্ঠ এই চেষ্টার কারণে আল্লাহ তাআলাও হজরতকে তাকওয়ার উপর চলার পথ সহজ করে দিতেন।

না জেনে তাকওয়ার বিপরিত তাঁর দ্বারা কখনো কিছু হয়ে গেলে আল্লাহ তাআলা তা ধরিয়ে দিতেন। খাবার জাতীয় কোন কিছু খেয়ে ফেললে হযরতের বমি হয়ে যেতো। এমনি একটি ঘটনা এখানে তুলা ধরা হলো, একব্যক্তি নিজের দেখা ঘটনা বর্ণনা করেন। ঝানঝানার একলোক হজরতকে খাবারের দাওয়াত করলো। লোকটি সরকারী স্কুলে চাকুরী করতো।

সতর্কতাবশত হজরত তাকে বললেন, ভাই! দাওয়াত দ্বারা কী কারো কষ্টের সম্ভাবনা আছে? লোকটি বললো, জী না হজরত। আমি সবদিকে সতর্ক থেকে সবকিছু ব্যবস্থা করেছি। কোন অসুবিধা নেই। হজরত দাওয়াতের দিন সেখানে গেলেন।

খানা খেলেন। যখন খানা খেয়ে বাড়ির গেটে আসলেন, তখনই পেট মোচড় মেরে যা খেয়ে ছিলেন, সব বমি করে ভাসিয়ে দিলেন। হজরত বমি করে দেয়া— আলামত ছিলো এই খাবারে ঝামেলা আছে।

এটি হযরতের দ্বারা বহুবার পরীক্ষিত ছিলো। তো শুরু হলো তথ্য তালাশি। তালাশ করে সবকিছু সঠিক পাওয়া গেলো। কিন্তু খাবারে গাভির যে দুধ মিশানো হয়ে ছিলো সেই গাভির ঘাসে সমস্যা পাওয়া গেলো।

ঘাসগুলোর মাঝে অন্যের ক্ষেতের ঘাসও ঐ ক্ষেতের মালিকের অনুমতি ছাড়া অল্প ঘাস মিশে গিয়ে ছিলো। আর এই সামান্য সমস্যার কারণে ঐ গাভির দুধ দ্বারা পাকানো খাবার হযরতের পেট গ্রহণ করেনি।

হযরতের ইখলাসের বদৌলতে আল্লাহ তাআলা হজরতকে তাকওয়ার এতো উপরের স্তরে পেঁৗছিয়ে ছিলেন। হালাল খাবার ছাড়া অন্য কোন খাবার হযরতের পেট গ্রহণ করতো না। সন্দেহযুক্ত কোন খাবার তিনি খেতে পারতেন না। খেলেই সাথে সাথেই বমি হয়ে যেতো। এই কারণে হজরতকে যারা দাওয়াত দিতো তারা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে খাবারের ব্যবস্থা করতো। [মূলসূত্র: আল ইফাদাতুল ইয়াওমিয়্যাহ: খন্ড—১০, পৃষ্ঠা— ৩১২]

এ জাতীয় আরো সংবাদ

গোস্ত কমবেশি করে বন্টন করলে কুরবানি সহিহ হবে ?

নূর নিউজ

নামাজে ‘সুরা আলে-ইমরানের’ আয়াত পড়ায় চাকরি গেল ইমামের

নূর নিউজ

পুলিশের আজান ও কেরাত প্রশিক্ষণ শুরু

নূর নিউজ