বর্তমান সময়ে যৌথ পরিবারের চিত্র খুব একটা দেখা যায় না। কর্মব্যস্ততার কারণে পরিবারের লোকজনের একসঙ্গে হবার বা থাকার পরিবেশ খুব একটা থাকে না। তবে বিভিন্ন উৎসব আনন্দ ও ঈদকে ঘিরে পরিবারের লোকজন একত্রিত হন বছরে এক দুইবার। পরিবারের মানুষদের একত্রিত হওয়ার বড় একটি উপলক্ষ্য হলো কোরবানি ঈদ।
কোরবানি মতো ধর্মীয় উৎসব যৌথ পরিবারে পালনের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় হলো- যদি প্রত্যেকেরই আলাদা অর্থবিত্ত থাকে, তাদের হিসাব-কিতাবও ভিন্ন থাকে তাহলে আলাদা আলাদা কোরবানি ওয়াজিব হবে শুধু কেউ একজন দিলে অন্য সবার ওপর থেকে ওয়াজিব আদায় হবে না।
এক্ষেত্রে আলেমরা বলেন, নামাজ পরিবারে প্রাপ্ত বয়স্ক সবার ওপর নামাজ পড়া ফরজ হলে সবাইকে ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে। কেউ একজন নামাজ পড়লে অন্যরা ফরজের জিম্মাদারি থেকে মুক্তি পায় না। তেমনিভাবে যৌথ পরিবারের কয়েকজনের ওপর কোরবানি আদায় করা ওয়াজিব হলে সবার জন্য আলাদা আলাদা কোরবানি করতে হবে।
তবে যৌথ পরিবারে উৎসবের আমেজ ধরে রাখতে এমন হতে পারে যে, যৌথ পরিবারের সদস্যদের মাঝে ৫ জনের উপর কোরবানি করা আবশ্যক হলে ৫ জন মিলে একটি কোরবানির গরুতে অংশ নিতে পারবেন। তাতে বাহ্যিকভাবে গরু একটি হলেও যেহেতু প্রতিজনের ভাগেই অন্তত এক ভাগ পড়ছে, তাই সবার ওয়াজিব কোরবানি আদায় হয়ে যাবে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ,কোনো ব্যক্তি কারও বোঝা নিজে বহন করবে না। (সূরা নাজম ৩৮)
হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যার কোরবানির সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কোরবানি করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম ৩৫১৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫)