হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আজ ২২ রজব। সেই হিসাব অনুসারে রমজান মাস শুরু হতে আর মাত্র ৩৭ দিন বাকি রয়েছে। তবে এর আগেই বাড়তে শুরু করেছে বাজারে খেজুরের দাম।
বছরের অন্য মাসের চেয়ে রমজানে আসলেই চিনি, খেজুর, ছোলা, বেসনসহ রমজানে প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দামও বেড়ে যায়। এছাড়া বছরের ১১ মাসে যে পরিমাণ চাহিদা থাকে খেজুরের তার চেয়ে রমজানেই বাড়তি চাহিদা।
রমজানে খেজুর ছাড়া ইফতার খোলা যায়, সে কথা ভাবাই যায় না। রোজাদারদের ইফতারের পাতে কম-বেশি খেজুর চাই। হোক তা যতই দাম। কিন্তু গুণগত মানের দিক থেকে কিছুটা কম-বেশি হতে পারে। এরপরও খেজুর থাকবেই।
রমজানকে সামনে রেখে বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন ধরনের খেজুর। তবে আমদানি সংকটে এবার রমজানের অনেক আগে থেকেই খেজুরের বাজারে উত্তাপ। একই সাথে রমজান মাসে খেজুরের চাহিদা অনুসারে আরও দাম বাড়তে পারে। এতে সরবরাহ নিয়েও দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা।
খেজুরের আমদানি ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে এ বছর পণ্যটি কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে আমদানি হয়নি বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। একই সাথে তারা বলেছে, রমজানের জন্য খেজুরের এলসি খোলার সময়ও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) হিসাবে, দেশে সারা বছর খেজুরের চাহিদা এক লাখ টন। রমজানে ৫০ হাজার টন। তবে এ বছর আমদানি বেশি কমেছে। বিগত তিন মাসে (নভেম্বর-জানুয়ারি) খেজুর আমদানি হয়েছে ২২ হাজার ৭শ টন। গত বছর একই সময়ে আমদানি ছিল ৪০ হাজার ৮শ টনের বেশি। অর্থাৎ, এক বছর আগের একই সময়ের চেয়ে এ বছর আমদানি প্রায় ৪৫ শতাংশ কমেছে।
ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে খেজুরের সবচেয়ে বড় চালান আসে ইরাক থেকে। এছাড়া সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া, জর্ডান ও মিশর থেকেও বাংলাদেশে খেজুর আসে। তবে এ দেশে সবচেয়ে বেশি ইরাকের জাহেদি খেজুর বিক্রি হয়। যা বাংলা খেজুর নামে গ্রামগঞ্জে কেজি দরে বিক্রি করা থাকে।
আমদামি কমের কারণে অনেক আগে থেকেই বাড়তি খেজুরের দাম। বর্তমানে পাইকারি বাজারে সাধারণ মানের খেজুরে কেজিপ্রতি বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। ইরাকের ‘জাহেদি’ খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া ভালো মানের খেজুরের দাম বেড়েছে মানভেদে কেজিপ্রতি তিনশ টাকা পর্যন্ত।