আজ (২২ মার্চ ২০২৩ ইং, বুধবার) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ এর সভাপতি, হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া ও মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে বলেন, রমজান আত্মসংযম, অনুকম্প ও ক্ষমা লাভের মাস। এ মাসে ত্যাগ স্বীকারের শিক্ষার মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ হয়। তাই রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করে চলুন, ইনশাআল্লাহ জীবনে বরকত আসবে। রমজানুল মুবারক বান্দার জন্য আল্লাহতায়ালার অনেক বড় নেয়ামত। এই মাসের দিবস-রজনীকে আল্লাহতায়ালা খায়ের ও বরকত দ্বারা পূর্ণ করে রেখেছেন।
তারা বলেন, আল্লাহতায়ালা এ মাসকে তাকওয়া অর্জনের অনুশীলন, ইবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সব আমলের জন্য ভরা বসন্ত বানিয়েছেন। এ মাস শুধু একটি মাসই নয়; বরং গোটা বছরের এটা তাপকেন্দ্র। এ মাস থেকেই মুমিন গোটা বছরের তাকওয়া ও তাহারাতের মূলমন্ত্র সঞ্চয় করে। পুরো বছরের ঈমানি প্রস্তুতি এ মাস থেকেই গ্রহণ করে।
মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় দিনের বেলায় হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তারা আরো বলেন, রমজান মাসে পারস্পরিক সহোযোগিতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করে ব্যবসা করুন। অন্তত রমজান মাসকে ব্যবসার উপলক্ষ না বানাই। এ মাস ইবাদতের মাস। এ মাসে দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে সাধারণ মানুষের ইবাদতে যেনো ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখুন। দ্বিগুন সওয়াব লাভের আশায় ন্যায্য মূলের চেয়ে কম মূল্যে ভোক্তাদের পণ্য সরবাহের চেষ্টা করুন। আল্লাহ আপনাদের ব্যবসায় বরকত দিবেন ইনশাআল্লাহ।
এছাড়া নেতৃদ্বয় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আরো বলেন, রমজানে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। বেহায়াপনা, অশ্লীলতা, মদ, জুয়া, সুদ ও ঘুষ বর্জন করুন। নৈতিকতা শিক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষাকে প্রাধান্য দিন। বেশী বেশী তওবাহ, ইস্তিগফার, কুরআন তিলাওয়াত ও সদকা করুন। নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত ও পর্দাসহ কুরআন-সুন্নাহ’র বিধান যথাযথ পালন করুন। সামার্থ্যানুযায়ী অসহায় গরীবদের জন্য ইফতার ও সাহরীর ব্যবস্থা করুন। আদর্শ সমাজ গড়তে ইসলামী তাহযিব-তামাদ্দুন রক্ষায় সচেতন হোন। নৈতিকতা শিক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষাকে প্রাধান্য দিন।
নেতৃদ্বয় সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়ে বলেন, সুদ, ঘুষ, দূর্নীতি এবং কালোবাজারী ও মুজতকারিদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা বন্ধ করুন এবং নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার মাধ্যমে ব্যবসায়িক অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ করুন। তারা আরো বলেন, শাতেমে রাসূল এর বিষয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের আইন জাতীয় সংসদে পাস করুন। সাধারণ মুসলমানদের ঈমান ধ্বংসকারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করুন। যদি রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাসে তাদের অমুসলিম ঘোষণা করেন, ইনশাআল্লাহ এ দেশে আল্লাহর খাস রহমত নাযিল হবে, শান্তি ফিরে আসবে।