রামুর ঐতিহ্যবাহী ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র কাউয়ারখোপ ইসলামিয়া তাজবিদুল কুরআন মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আমিনুল হক বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন- ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৫২ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন শিশু সন্তানসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে যান।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টায় নিজের স্মৃতিবিজড়িত কাউয়ারখোপ মাদ্রাসা মাঠে মরহুমের নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। নামাযে জানাযায় বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশিষ্ট ওলামায়েকেরাম, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক শোকার্ত তৌহিদী জনতা শরীক হন। এ নামাযে জানাযায় ইমামতি করেন, শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এর ছেলে মাওলানা আনাছ মাদানী।
নামাযে জানাযার পূর্বে আলোচনা করেন, মাদ্রাসার মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য, জোয়ারিয়ানালা মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা হাফেজ আব্দুল হক, রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, কাউয়ারখোপ ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম, রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোহছেন শরীফ, চট্রগ্রাম নাসিরাবাদ মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা নুরুল ইসলাম সাদেক, মরহুমের ভাই সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল হক, রামু জামেয়াতুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা হাফেজ শামসুল হক, ইসলামী ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় নেতা হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর, উখিয়ারঘোনা মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা শহিদুল্লাহ।
জানাযার নামায শেষে মাদ্রাসা মসজিদের পাশে নিজের দাদা, ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুল গফুর রহ. এর কবরের পাশে মরহুমকে দাফন করা হয়। রামুর প্রতিনিধিত্বশীল, বিদগ্ধ এ আলেমেদ্বীনের ইন্তেকালে এলাকাবাসীসহ জেলার দ্বীন অনুরাগী মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।