পশ্চিমাদের ‘দ্বিমুখী’ আচরণের জন্য তীব্র সমালোচনা করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
রোববার আব্বাসের সঙ্গে দেখা করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। এ সময় তিনি এ সমালোচনা করেন। খবর মিডল ইস্ট আই-এর।
ব্লিনকেনকে পশ্চিমাদের তীব্র সমালোচনা করে আব্বাস বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর মস্কোকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ‘অপরাধ’ উপেক্ষা করছে পশ্চিমারা, যা ‘দ্বিমুখী’ আচরণ।
এক সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউরোপের বর্তমান ঘটনা নির্লজ্জ দ্বিমুখীতাকে সামনে এনেছে।
‘ইসরায়েলি দখলদারদের জাতিগত নিধন এবং বৈষম্য সত্ত্বেও আমরা কাউকে খুঁজে পাইনি যারা দেশটিকে জাবাবদিহিতার আওতায় আনবে’, যোগ করেন আব্বাস।
বৈঠকে ব্লিনকেন ফিলিস্তিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার ইচ্ছার কথা জানান। এ সম্পর্ক সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সময় একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল।
আব্বাস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন ব্লিনকেন।
যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি এতদিন ছিল চীনের দিক থেকে আসা চ্যালেঞ্জের দিকে যা এখন সরে গেছে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে। এ সময়ের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে খুব একটা সময় খরচ করেনি ওয়াশিংটন।
এর মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা না জানানোয় আব্বাসের প্রশাসন পশ্চিমা কূটনীতিকদের ক্ষুব্ধ করেছে।
পশ্চিমা কূটনীতিকদের একাধিক সূত্র এএফপিকে জানায়, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানানোর অনুরোধ নাকি জানানো হয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনারা। এর পর থেকে বেলারুশে কয়েক দফা ও তুরস্কে বৈঠক হলেও কোনো সমাধান আসেনি। কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমারা।