নিজস্ব প্রতিবেদক
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলির। স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে আয়োজিত ব্রিফিংকালে এই অভিনন্দন জানান স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র।
এর আগে দুটি বিষয়ে প্রশ্ন শেষে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই মুখপাত্র ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের স্থায়ী করসপন্ডেন্সদের কাছ থেকে বিদায় প্রার্থনা করেন।
পরে প্রশ্ন শেষে দুটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান ম্যাথিউ মিলার।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের সর্বশেষ প্রশ্নে প্রথমত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সাম্প্রতিক ভিজিট সম্পর্কে জানতে চেয়ে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব যুক্তরাষ্ট্রে ভিজিট করে গেছেন। তিনি ডেপুটি সেক্রেটারি বার্মা ও আন্ডার সেক্রেটারি জন বাস এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু ও গ্লোবাল এনএসসি এন্টি করাপশন কমিশন, আপনার কাছে কি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং সম্পর্কে কোনো ইনসাইট আছে? বাংলাদেশের সাথে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে?
জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেন, রিড আউটের বাইরে নতুন কোন তথ্য নেই।
আরেকটি প্রশ্নে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর অভিযোগ করেছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে তার সঙ্গে সঙ্গে গভীর সম্পর্ক আছে এমন ব্যক্তিরা ব্যাংকিং খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ইউ এস ডলার লুট করেছে। এটাকে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যাংক লুটের ঘটনা হিসেবে বলা হচ্ছে। আপনারা এই টাকা উদ্ধারে কিভাবে সহযোগিতা করতে পারেন? এবং দায়ীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট থেকে কি ভূমিকা রাখতে পারেন?
জবাবে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, রিপোর্টের বিস্তারিত এখনও জানিনা এবং এর ফলাফল সম্পর্কে এখনই মন্তব্য করতে পারছিনা।