আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান ও রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যার ফতোয়াদাতা কথিত আরসার ওলামা শাখার প্রধান কমান্ডার মৌলভী জকোরিয়াকে (৫৫) গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় উখিয়া ক্যাম্পের লম্বাশিয়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ এপিবিএন।
মৌলভী জকোরিয়াকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ এপিবিএনের পুলিশ সুপার নাইমুল হক।
তিনি বলেন, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ক্যাম্পে খুনের শিকার রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহর সঙ্গে কথিত আরসার ওলামা শাখার প্রধান কমান্ডার মৌলভী জাকারিয়ার রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মতবিরোধ ছিল। মাস্টার মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পক্ষে জোরালো অবস্থানের কারণে কথিত আরসার ফতোয়া বিভাগের প্রধান মৌলভী জকোরিয়ার তাকে হত্যার পক্ষে ফতোয়া দেন। এর পর মুহিবুল্লাহকে হত্যা করা হয়।
মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে জাকারিয়া আত্মগোপনে চলে যান। তাকে ধরতে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছিল। গত চার মাস ধরে অব্যাহত চেষ্টার পর তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। তার বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশ সুপার নাইমুল হক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মৌলভী জকোরিয়া ২০১৫ সাল থেকে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা যাওয়া করতেন। এর পর ২০১৭ সালে আশ্রিত হয়ে উখিয়া ক্যাম্পের লম্বাশিয়া এলাকায় বসবাস শুরু করেন তিনি। ২০১৯ সালে কথিত আরসার ফতোয়া বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান মৌলভী জকোরিয়া।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ায় লম্বাশিয়া এলাকায় আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে তার কার্যালয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এর পর ২৩ অক্টোবর ভোরে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১৮ নম্বর ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি মাদ্রাসায় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় ছয়জনকে। চাঞ্চল্যকর এ দুটি হত্যাকাণ্ডের জন্য আরসাকে দায়ী করে আসছেন নিহতের স্বজন ও সাধারণ রোহিঙ্গারা। এ ছাড়া ক্যাম্পে নিরাপত্তার জন্য আরসাকে হুমকি মনে করা হয়।