শায়েখ আহমাদুল্লাহ। বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব। সুবিদিত ও বিদগ্ধ আলোচক। লেখালেখি, গবেষণা-আলোচনা, সভা-সেমিনারে লেকচার, নানামুখি দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা, উন্মুক্ত ইসলামিক প্রোগ্রাম ও প্রশ্নোত্তরমূলক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ এবং টিভি অনুষ্ঠানে সময় দেওয়াসহ বহুমুখী সেবামূলক কাজে সপ্রতিভ গুণী ও স্বনামধন্য এই আলেমেদ্বীন।
দেশে-বিদেশে শিক্ষা, সেবা ও দাওয়াহ— ছড়িয়ে দিতে শায়খ আহমাদুল্লাহ প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’। করোনাকালীন সময়ে ও হালে তার প্রতিষ্ঠানটি সময়োপযোগী নানা উদ্যোগ নিয়ে সর্বমহলে আলোচিত ও প্রশংসিত হয়েছে।
এর আগে ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কাজ করার সুযোগ লাভ করেন তিনি। বিশেষ দক্ষতা ও যোগ্যতার কারণে ডাক পান মধ্যপ্রাচ্যে। যোগ দেন সৌদি আরবের পশ্চিম দাম্মাম ইসলামিক দাওয়াহ সেন্টারে। দাঈ ও অনুবাদক হিসেবে সেখানে কাজ করেন দীর্ঘ ৯ বছর। সেখানে থাকাকালীন-ই আর্তমানবতার সেবায় এবং বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মাঝে ইসলামের জ্ঞান-অভিজ্ঞান পৌঁছে দেওয়ার নিজেকে সম্পৃক্ত ও নিয়োজিত রেখেছিলেন।
বিভিন্ন দাওয়াতি কার্যক্রমে ইতোমধ্যেই তিনি জাপান, ভারত ও আরব আমিরাত সফর করেছেন এবং একাধিক আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।
ইসলাম নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি লেখালেখিও করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে তার লেখা প্রকাশিত হয় প্রায় সময়। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে শতাধিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখেছেন। আরবিতেও প্রকাশিত হয়েছে তার বহু লেখাযোখা। শায়খ আহমাদুল্লাহ বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ভূমিপল্লী জামে মসজিদের খতিব। পাশাপাশি সেখানকার একটি মাদরাসার পরিচালনার সঙ্গেও যুক্ত।
কিছুদিন আগে ফেসবুক লাইভে তার সাক্ষাৎকার-জীবন্তিকা গ্রহণ করেন বিশিষ্ট আলোচক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুফতি রাফি বিন মুনির। পাঠকদের জন্য সেই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা পোস্ট। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারটি শ্রুতিলিখন করেছেন মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাহার। —মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন