ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, শিক্ষা কারিকুলাম সংশোধন করে মুসলমানদের চিন্তা চেতনার আলোকে নতুনভাবে প্রণয়ন করতে হবে। শিক্ষার অসঙ্গিগুলো দ্রুত সংশোধন করতে হবে। শিক্ষায় বিদেশী প্রভাবমুক্ত শিক্ষা কারিকুলাম চাই। মুসলমানদের চেতনাবিরোধী শিক্ষা দিয়ে দেশকে রক্ষা করা যাবে না। ঈমান বিধ্বংসী শিক্ষা দ্বারা কখনো দেশপ্রেমিক নাগরিক গড়ে তেলা যায় না। কাজেই শিক্ষা সিলেবাস সংশোধন করে দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি করতে হবে। ভারতের সাথে এদেশের জনগণের পার্থক্য ঈমান ও ইসলাম। ইসলাম না থাকলে দেশ থাকবে না। এটা বুঝতে দেরি করলে দেশের সার্বভৌমত্ব টিকবে না।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্্রদীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ হারুন অর রশিদ, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, অ্যাডভোকেট এম হাছিবুল ইসলাম, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা নূরুল ইসলাম আলআমিন, হাফেজ মাওলানা নূরুল করীম আকরাম।
এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, পাওনা টাকা চাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের ক্যান্টিন মালিককে মেরে দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত হোসাইন অভি। এমন ঘটনা খুবই পীড়দায়ক। নবীর সুন্নত দাড়ি উপড়ে ফেলা চরম ইসলামবিদ্বেষের পরিচয়। ছাত্রলীগ সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। জাবিতে ছাত্রলীগ স্বামীকে বেধে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেছে। ইবিতে র্যাগিংয়েল নামে ছাত্রদের উলঙ্গ করে প্রহারের ঘটনা ঘটেছে। এসব কী হচ্ছে, ছাত্রলীগের লাগাম টেনে না ধরতে পারলে দেশের জন্য অভিশাপ হবে ছাত্রলীগ। কাজেই ছাত্রলীগের ভয়াবহতা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষায় এদের রুখে দিন। অন্যথায় দেশময় তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠলে এদের রক্ষা হবে না।