করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে এবার তাজিয়া মিছিল বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও তা উপেক্ষা করে শিয়া সম্প্রদায়ের উদ্যোগে রাজধানীর রাস্তায় মিছিল হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুরান ঢাকার ইমামবাড়া হোসেনি দালান থেকে মিছিলটি বের হয়। পরে চকবাজার, লালবাগ, আজিমপুর, নিউ মার্কেট ও জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের দিকে যায় মিছিলটি।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি জসিম উদ্দিন মোল্লা বলেন, করোনা বিধিনিষেধের কারণে রাজধানীতে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিল নিষিদ্ধ। আমরা এখন পর্যন্ত কোথাও তাজিয়া মিছিল বের হওয়ার কোনো খবর পাইনি। কোনোভাবেই তাজিয়া মিছিল বের করতে দেয়া হবে না। করোনার বিধিনিষেধ পরিপালনে কাজ করছে পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে করোনার কারণে এবার তাজিয়া মিছিল বন্ধের নির্দেশনা দেয়। এবার করোনা মহামারির কারণে আগে থেকেই তাজিয়া মিছিল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এবার ভোর থেকে পুরান ঢাকার হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় আসতে থাকেন ভক্তরা। নিশান ও পাকপাঞ্জা নিয়ে কালো–সবুজ পোশাক পরা কিশোর-তরুণ-যুবকেরা ইমামবাড়ার এদিকে–ওদিকে ঘুরছিলেন। ঠিক সকাল ১০টায় বের হয় মহররমের শোকের মিছিল। হোসেনি দালান ইমামবাড়া প্রাঙ্গণেই মিছিলটি ঘুরপাক খায়।
ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে এই মিছিলের শুরুতে যুবকেরা ছিলেন নিশান–পাকপাঞ্জা নিয়ে। তারপর ছিল দুটি দুলদুল ঘোড়া। এরপর ছিল হাসান ও হোসেইনের তাজিয়া। সবশেষে ছিলেন কালো পোশাক পরা তরুণেরা। তারা সংক্ষিপ্ত মিছিলের সঙ্গে ‘হায় হোসেন! হায় হোসেন!’ বলে আশুরার মাতম করছিলেন।
ইমামবাড়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিবছরের মতো এবারও প্রচুর জনসমাগম হয়েছে। তবে ইমামবাড়া চত্বর ছোট হওয়ায় অনেকেই ভেতরে ঢুকতে পারেনি।
হোসেনি দালান ইমামবাড়া মিছিল পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ বাকার রেজা মাজলুম বলেন, ‘৪০০ বছর ধরে এখান থেকে ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। এ বছর করোনার কারণে তা সীমিত আকারে করা হচ্ছে। এজন্য মিছিল আয়োজনে কষ্ট হচ্ছে।