গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন চেয়ে ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীর আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত সপ্তাহে এ আদেশ দেন। বুধবার (২৭ এপ্রিল) আদালতের আদেশের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন মাদানীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা।
গত ১০ জানুয়ারি গাজীপুরের গাছা ও রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আপিল করেন রফিকুল ইসলাম মাদানী। এর আগেও মামলাগুলোতে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
বিচারিক আদালতে জামিন নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তার আইনজীবী। আপিল আবেদনে আবারও রফিকুল ইসলাম মাদানীর জামিন প্রার্থনা করা হয়।
রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে গত ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ৩টার দিকে রফিকুলকে নেত্রকোণার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব। ওই সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল জব্দ করা হয়। এরপর রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলাসহ কয়েকটি মামলা করা হয়।
গত ১১ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে গাজীপুরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। তার বিরুদ্ধে মারাত্মক মিথ্যা, ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার মতো অপরাধে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গাজীপুরের টেকনাগপাড়া এলাকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। একই অভিযোগে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
এদিকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানী হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।