সন্তান মহান আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে মাতা-পিতার জন্য একটি বিশেষ শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। আল্লাহ যাকে চান তাকে এ নেয়ামত দান করেন। যাকে চান সন্তানের মত মহান নেয়ামত না দিয়ে পরীক্ষা করেন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কুরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন, যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন অথবা ছেলে-মেয়ে উভয়ই দান করেন। আবার যাকে ইচ্ছে বন্ধ্যা করেন। (সূরা আশ্শূরা ৪২:৫০)
ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম দেওবন্দের অনলাইন ফতোয়ার ওয়েব সাইটে এক ভাই জানতে চেয়েছে সন্তান না হলে করণীয় কোনো আমল থাকলে জানাতে। তিনি বলেন, আমার বিয়ের তিন মাস হয়ে গেছে, আমার বয়স ৩২ বছর। আমার থাইরয়েড রোগ আছে। তাই আমি আমার বয়সের জন্যও চিন্তিত।
হরমোন সমস্যা হতে পারে। যে কোনো সমস্যার কারণে আমার সন্তান হচ্ছে না। আল্লাহ সন্তান দাতা। অবশ্যই আল্লাহ সব কিছু করতে সক্ষম। আমার করণীয় কোনো আমল থাকলে যদি জানাতেন।
দারুল উলুম দেওবন্দ উত্তর নং: ৬০৫৬০৯ এ বলে, আপনার বিয়ের মাত্র তিন মাস কেটেছে। এখনই বাচ্চার বিষয়ে উদ্বেগ হওয়ার কোনো কারণ নেই। رَبِّ لاَ تَزَرْنِي فَرْداً وَأنْتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ আপনি কুরআনের এ আয়াতটি বেশি বেশি পড়বেন। এটি সবচেয়ে কার্যকর একটি আমল। এর চেয়ে কার্যকর আর কোনও আমল নেই। এটি পড়তে থাকুন এবং আল্লাহর প্রতিটি আমলের প্রতি মনোযোগ দিন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করবেন।
শাইখুল হাদিস আল্লামা জাকারিয়া রহ. একটি আমল বর্ণনা করতেন। সকালে নাস্তার আগে দুটি মুরগির ডিম সিদ্ধ করবে, তারপরে খোসা ছাড়িয়ে একটি ডিমের মধ্যে এ আয়াতখানা লিখবে, وَالسَّمَاءَ بَنَیْنَاہَا بِأیْدٍ وَّإنَّا لَمُوْسِعُوْنَ এ ডিমটি স্বামী খাবে।
অন্য আরেকটি ডিমের উপর وَالأرْضَ فَرَشْنَاہَا فَنِعْمَ الْمَاہِدُوْنَ এ আয়াতখানা লিখবে। এ ডিমটি স্ত্রীকে খাওয়াবে। এ আমলটি একটানা ৪০ দিন করবে। আল্লাহর নাম নিয়ে স্ত্রী মিলন করবে। প্রতিদিন বাধ্যতামূলক দৈনিক নামাজের পরে ভাল সন্তানের জন্য মহান আল্লাহপাকের কাছে দোয়া করতে থাকবে। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তার ঘরে আলো জ্বালাবেন, তাকে অবশ্যই সন্তান দান করবেন। সূত্র: দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া লিন্ক