নূর নিউজ: ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী ঐক্যজোট। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া ফিলিস্তিনের নির্বিচারে হামলা করে নিরীহ নারী, পুরুষ ও শিশুদের গণহত্যা করছে। আমরা ইহুদিবাদী ইসরাইলের এমন বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিরা যখন নিজেদের অস্থিত্ব রক্ষায় ইট, পাথর আর রকেট দিয়ে লড়াই করছে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ জঙ্গী রাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষেই সাফাই গাইছে। একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যুদ্ধাপরাধ করা সত্ত্বেও ইসরাইলকে তারা সমর্থন করছে। নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় বিশ^ সম্প্রদায়ের এমন নিরবতায় আমরা বিষ্মিত। আমরা মনে করি, সন্ত্রাসী ইসরায়েলকে থামানো না গেলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরবে না। তাই বিশ^ সম্প্রদায়কে এখনই ফিলিস্তিনে হামলা বন্ধে ইসরাইলকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
মাওলানা হাসানাত আমিনী ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি আগ্রাসন ও হামলার প্রতিবাদ করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবান জানান।
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেন, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল ফিলিস্তিনে বোমা ও বিমান হামলার মাধ্যমে যেভাবে বেসামরিক লোকদেরকে হত্যা করছে, তা দেখে কোন মুসলমান নিরব থাকতে পারে না। অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে সমর্থন দিয়ে জো বাইডেন মানবতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। কাজেই যে অপরাধে নেতানিয়াহু অপরাধী একই অপরাধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও অপরাধী।
ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব বলেন, আমরা দেখছি, ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হামলা চললেও জাতিসংঘ নিরব। তারা ইসরায়েলের বর্বরতা বিরুদ্ধে একটি নিন্দা প্রস্তাব পর্যন্ত সভায় পাশ করতে পারেনি। পৃথিবীর প্রধান সারির রাষ্ট্রগুলোও নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। অথচ সুদান আর ইন্দোনেশিয়ার সামান্য দাবীর পর সেখানে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষনা করেছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ, ওআইসি, আবরলীগসহ মানবাধিকারের ধ্বজাধারী তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নিরবতা দেখে মনে হচ্ছে দখলদার ইসরাইলের মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে তারাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
বিশ^ নেতৃবৃন্দের কাছে আমাদের দাবি স্পষ্ট দাবী, অনতিবলিম্বে ইসরাইলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষনা করতে হবে। কথিত জাতিসংঘ ভেঙ্গে দিয়ে মুসলিমদের রক্ষায় মুসলিম জাতিসংঘ গঠন করতে হবে। একই সাথে ইসরাইলের সাথে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে সব ধরনের কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে মাননবন্ধন ও সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রশিদ মজুমদার, যুগ্ম মহাসচিব মুফতী তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মাওলানা জিয়াউল হক মজুমদার, মুফতী জুনায়েদ বিন গুলজার, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, সহকারী মহাসচিব মাওলানা একেএম আশরাফুল হক, মাওলানা আব্দুল বাতেন, কেন্দ্রীয় নেতা মুফতী আবুল খায়েল বিক্রমপুরী, মাওলানা মুমিনুল হক, মুফতী আজহারুল ইসলাম, মাওলানা নুরুজ্জামান, মাওলানা আল আমিন মামুন ও ইসলামী ছাত্র খেলাফতের সেক্রেটারী মুহিউদ্দীন প্রমুখ।