সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় র্যাবের অবদান তুলে ধরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেনকে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। তবে চিঠিতে র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করা হয়নি বলে জানান মন্ত্রী।
আজ রোববার সকালে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে তিনি বলেন, চিঠিতে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে র্যাব ও সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরা হয়। এসব অপরাধ দমনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- র্যাবের নানা অভিযান ও দুঃসাহসিক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
এখন র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি মার্কিন প্রশাসনের নিজস্ব বিষয় বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ভবিষ্যতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের আশাবাদ ব্যক্ত করার পাশাপাশি সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন ও মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ডে র্যাবের ভূমিকার কথা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন আব্দুল মোমেন।
গত ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে র্যাবের ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর। মার্কিন অর্থ দপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের এই দিনে (১০ ডিসেম্বর, শুক্রবার) মার্কিন অর্থ দপ্তরের ফরেন অ্যাসেটস কনট্রোল অফিস (ওএফএসি) বিভিন্ন দেশের মোট ১০টি প্রতিষ্ঠান ও ১৫ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে- যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নিপীড়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তালিকাভুক্তদের অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশের র্যাবের ছয়জন কর্মকর্তা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে মাদকবিরোধী অভিযানের সময় র্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। আইনের শাসন, মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা ও বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে হেয় করার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলছে।
ওই সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ ডিসেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর গত ১৫ ডিসেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনকে ফোন করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন।