ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, আল্লামা শাহ আব্দুল হালিম বোখারী রহঃ অনেক দূরদর্শি আলেম এবং রাষ্ট্র চিন্তক ছিলেন। তিনি দেশ, ইসলাম ও মানবতার কল্যাণে নিবেদিত থেকে বাতিল ও খোদাদ্রোহী শক্তির মোকাবেলায় অত্যন্ত কঠোর ছিলেন। তিনি মুফাককির আলেম ছিলেন। তাঁর চিন্তা ও গবেষণা বাস্তবধর্মী ছিলো। তিনি ওলামাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছেন। বর্তমানে তাঁর মত দূরদর্শি ও বাস্তবধর্মী চিন্তাশীল আলেমের বড়ই প্রয়োজন। আমি তাকে কাছ থেকে দেখেছি, সংশ্রব নিয়েছি, তাঁর চিন্তা ও আলোচনার সাথে আমাদের অনেক মিল ছিলো।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে। জুলুম-নির্যাতন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও ভোগবাদীর কারণে দেশের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। দেশের মানুষ ভাল নেই। এমতাবস্থায় জালেমদের কবল থেকে দেশ রক্ষা করে সমাজ ও রাষ্ট্রে আলেমদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। রাষ্ট্রের নেতৃত্ব যারা দিচ্ছেন তাদের কাছে ইসলাম নেই, আর আমরা যারা ইসলামের নেতৃত্ব দিচ্ছি আমাদের হাতে রাষ্ট্র নেই। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। তিনি বলেন, চোর-ডাকাত, ভোগবাদী, দুর্নীতিবাজরা কখনোই চাইবে না দেশে আলেমদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হোক। কাজেই দেশ ও মানবতার স্বার্থেই আলেমদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমস্থ ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে পটিয়া মাদরাসার সাবেক মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আব্দুল হালিম বোখারী রহঃ এর জীবনী শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই হাফিজাহুল্লাহ এব কথা বলেন। পটিয়া মাদরাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ আহমদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মুফতী আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া। এছাড়াও পটিয়া মাদরাসার সাবেক ছাত্রবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, জালেম, লুটপাটকারী, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজরাই ইসলামকে ভয় পায়। কারণ ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলে তারা লুটপাট করতে পারবে না। প্রচলিত সমাজপতিরা ইসলাম রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠা হোক কখনো চাইবে না। তিনি বলেন, মজলুম-অসহায় মানবতার পক্ষে আলেমদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, নবী করীম সা. ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্যে লোহার টুপি পরিধান করেছিলেন। নায়েবে নবী হিসেবে ওলামাদেরকে নবী সা. এর আদর্শ অনুধাবন করে কাজ করতে হবে। হযরত সাহাবায়ে কেরাম ও খোলাফায়ে রাশেদীনের আদর্শ বুকে লালন করে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।