আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত। তাই দেশের সমৃদ্ধি ও সুশাসনই আমাদের লক্ষ্য, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৪তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য সামনে নিয়েই আমরা দেশ পরিচালনা করছি। তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী নন, জনগণের সেবক মনে করতেন।
‘দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না, এটা জাতির পিতাই প্রথম বলেছিলেন। শুধু বলেননি, নিজেও কাজ করতেন। গণভবনে তখন ২৩ মণ আলু হয়েছিল। জাতির পিতা আর কয়েক বছর সময় পেলে আরও অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হতো। কিন্তু অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা ক্ষমতায় এসে সব ধ্বংস করে দেয়। যে দেশে সামরিক একনায়করা ক্ষমতায় আসে, সেখানেই তারা দুর্নীতিকেই নীতিতে পরিণত করে। কারণ তাদের মানুষের কাছে দায়বদ্ধতা থাকে না।’
আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত, তাই আমরা কাজ করছি জনকল্যাণে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা শুদ্ধাচার নীতি নিয়েছি। দেশের সমৃদ্ধি ও সুশাসনই আমাদের লক্ষ্য বলেও জানান শেখ হাসিনা।
আজকের নবীন কর্মকর্তাই হবেন ৪১ এর উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক। পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সে দায়িত্ব বর্তায় নবীন কর্মকর্তাদের ওপর, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
কোভিড মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতি উল্লেখে করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব কারণে কয়টি দেশ এসডিজি বাস্তবায়ন করতে পারে, সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে আমরা যেভাবে পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি তাতে এসডিজির অনেক লক্ষ্যই বাস্তবায়ন করতে পারব।
গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি ব্যবহারসহ সবক্ষেত্রে সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে হবে। নজর দিতে হবে উৎপাদন বাড়ানোর দিকে। ইউক্রেন যুদ্ধ কতদিন চলবে, তা জানা নেই। তবে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি অবস্থা মোকাবিলা করতে। সবাইকে সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।