এবারের পবিত্র রমজানে ফেনী জামেয়া রশিদিয়া মাদরাসার ১৭০০ জন হাফেজ দেশের বিভিন্ন জেলায় ৮০০-এর বেশি মসজিদে তারাবি নামাজ পড়াচ্ছেন।
এসব হাফেজ তারাবি পড়ানো বাবদ কোনো হাদিয়া বা সম্মানী নিচ্ছেন না।
কোন উপঢৌকনও নিচ্ছেন না তারা। প্রতিবছরই এই উদ্যোগে নেওয়া হয়ে থাকে জামেয়া রশিদিয়া মাদ্ররাসা থেকে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের শিক্ষার্থীদের একদম বিনা পারিশ্রমিকে সরবরাহ করে আসছেন৷
চলতি বছর ৮ শতাধিক মসজিদে বিনা পারিশ্রমিকে ১৭০০ হাফেজ দিয়ে তারাবি পড়ানোর ব্যবস্থা করেছে মাদরাসাটি।
ফেনী জেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামেয়া রশিদিয়া। ১৯৯৪ সালে ফেনীর লস্করহাটে মুফতি মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয় এ মাদরাসা।
৭ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত ফেনীর লস্করহাটের এ মাদরাসার মোট ছাত্র সংখ্যা ৪ হাজার ৮১৫জন। আবাসিক ছাত্র সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি। ২১ জন বাবুর্চি, ১৬ জন স্টাফসহ ১১৫ জন সুযোগ্য শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছে এ মাদরাসাটি।
ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত প্রায় ৮ শতাধিক মসজিদে চলতি রমজান মাসে ২ জন করে হাফেজ নির্ভুল তারাবি পড়াচ্ছেন।
মাদরাসা কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, এসব হাফেজের কেউ যদি তারাবি পড়িয়ে অর্থ গ্রহণ করেন তবে মাদরাসার নিয়মানুযায়ী তাদের জন্য রয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফফি শহিদুল্লাহ বলেন, আমারা আমাদের ছাত্রদের হাফেজ সম্পন্ন করিয়ে রমজানে বিভিন্ন মসজিদে পাঠাই তারাবি নামাজ পড়াতে। এটা আমরা অনেক বছর আগ থেকে করে আসছি। আমাদের ছাত্ররা এতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। তারা কোন ধরনের লোভ-লালসার মধ্যে নেই। এতে তাদের কুরআন চর্চাও মজবুত হয়, সোয়াবের পাল্লাও ভারী হয়।
স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক আরিফুল আমীন রিজভী বলেন, জামেয়া রশিদিয়ার এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। বিনা পারিশ্রমিকে খতম তারাবির আয়োজন করায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষের প্রতি রইল শুভকামনা। তবে ছাত্রগুলো কোন ধরণের পারিশ্রমিক না দিলেও উপহার হিসেবে তাদের কিছু দেওয়া হোক।
তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা মাইন উদ্দিন বলেন, বর্তমান ঊর্ধ্বগতির বাজারে এমন উদ্যোগ সমাজে উদাহরণ হয়ে থাকবে।