দীর্ঘ চার বছর প্রেমের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক কলেজছাত্রী (১৯)।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নবুওছিমদ্দিনপাড়া গ্রামে সাগর সরদারের বাড়ির বারান্দায় ওই ছাত্রীকে অনশন করতে দেখা যায়। এ সময় অনশনে বসা ওই কলেজছাত্রী বলেন, ‘সাগরের কথামতো আমি ওর বাড়িতে এসেছি। ও আমাকে রেখে বাবার কথামতো পালিয়ে গেছেন। সাগর যদি বাড়িতে এসে আমাকে বিয়ে না করে তাহলে এই বাড়ি থেকে আমার লাশ যাবে।’
এর আগে শুক্রবার (৩ মে) সকাল থেকে অনশনে বসেন ওই কলেজছাত্রী। প্রেমিক সাগর একই গ্রামের দারোগ সরদারের ছেলে সাগর সরদার (২৬)।
ওই কলেজছাত্রী বলেন, ‘চার বছর আগে একই গ্রামের সাগর সরদারের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ে করার কথা বলে সাগর একাধিকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। সম্প্রতি সাগর প্রবাসে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ কথা শুনে তিনি সাগরকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেন।’
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার (৩ মে) সকালে সাগর তাকে ফোন করে সাগরদের বাড়িতে যেতে বলেন। সকাল ১০টার দিকে তিনি সাগরদের বাড়িতে যান। তখন সাগর বাড়িতেই ছিলেন। বেলা ১২টার দিকে সাগরের বাবা বাড়িতে এসে ছেলেকে বাড়ি থেকে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেন। এরপর থেকে সাগরের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। সাগরের মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ রয়েছে।
এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর ভাই বলেন, ‘সাগর আমার বোনের সর্বনাশ করেছে। আমরা সাগরের বিরুদ্ধে গোয়ালন্দঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমার বোনকে সাগরের স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।’
এ দিকে, বাড়িতে সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে অভিযুক্ত সাগরের মা মমতা বেগম বাড়িতে আসেন। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজী হননি। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বাড়ি থেকে আবারও পাশের বাড়িতে চলে যান। আর সাগরের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘প্রেমের সম্পর্কের কারণে মেয়েটি তার প্রেমিকের বাড়ি গিয়ে উঠেছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’