মুফতী ওয়াক্কাস ইন্তিকাল করেছেন

বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি, হাইয়াতুল উলইয়ার কো-চেয়ারম্যান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের (একাংশ) সভাপতি ও সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

বুধবার (৩১ মার্চ) ভোর ৪.৩০ মিনিটে রাজধানী ঢাকার মহাখালী শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলিস্তান পীর ইয়ামেনী জামে মসজিদের খতিব মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী।

মৃত্যুর সময় মুফতি ওয়াক্কাসের বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি ৩ ছেলে ও ৪ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার জানাজার নামাজ আজ বাদ মাগরিব নিজের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া ইমদাদিয়া মনিরামপুর, যশোরে অনুষ্ঠিত হবে।

উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস ১৫ জানুয়ারি ১৯৫২ সালে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার বিজয়রামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ইসমাইল ও মাতা নূর জাহান বেগম। আলিয়া মাদরাসা থেকে দাখিল, আলিম, ফাযিল এবং কওমী থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেন। ১৯৭৬ সালে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে ইফতা সম্পন্ন করেন। তিনি যশোর মাদানী নগর মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তিনি যশোর-৫ আসনের সাবেক সাংসদ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের একাংশের সভাপতি ও আল হাইআতুল উলয়ার সহ-সভাপতি ছিলেন।

মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস বাংলাদেশ তথা ভারত উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরানো ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামে নেতা। তিনি ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। তন্মধ্যে ১৯৮৬, ১৯৮৮ ও ২০০১ সালে যশোর-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মুহাম্মদ ওয়াক্কাস তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সর্বপ্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর যোগ দেন জাতীয় পার্টিতে এবং চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচননে জাতীয় পার্টির সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের হয়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোট থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯১ সাল থেকে ২০১৫ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত জমিয়তে উলামায়ে ইসলামে বাংলাদেশের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর পর নির্বাহী সভাপতি। ২০১৭ সালে জমিয়ত বিভক্ত হলে তিনি একাংশের সভাপতি নির্বাচিত হন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

১০০ টাকা বরাদ্দ দিলে গ্রামে ১০ টাকা পৌঁছায়

আনসারুল হক

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছে আওয়ামী লীগ

নূর নিউজ

আর কোন রোহিঙ্গাকে ঢুকতে দেয়া হবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নূর নিউজ