২০২১ সালের সাহিত্যের নোবেল পুরস্কার পেলেন তানজানিয়ার ঔপন্যাসিক আবদুলরাজাক গুরনাহ। তানজানিয়ার জাঞ্জিবারে জন্মগ্রহণ করা এই সাহিত্যিক ইংল্যান্ডে সাহিত্য চর্চা করছেন।
সুইডিশ অ্যাকাডেমি বলছে, ঔপনিবেশিকতার প্রভাব নিয়ে তার গভীর লেখনির জন্য তাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সংস্কৃতি ও মহাদেশে শরণার্থীদের ভাগ্য নিয়েও লিখেছেন এই সাহিত্যিক।
১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন গুরনাহ। ভারত মহাসাগরের জানজিবার দ্বীপে তিনি বেড়ে ওঠেন। কিন্তু ১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে ইংল্যান্ডে আসেন শরণার্থী হয়ে। ক্যান্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন তিনি।
গত বছর সাহিত্যের নোবেল পেয়েছিলেন মার্কিন কবি অধ্যাপক লুইস গ্ল্যুক। সাহিত্যে এখন পর্যন্ত নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ১১৮ জন; তাদের মধ্যে নারীর সংখ্যা মাত্র ১৬ জন।
আবদুলরাজক গুরনাহ। ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ভারত মহাসাগরের জাঞ্জিবার দ্বীপে বেড়ে ওঠেন। ১৯৬০ সালের শেষের দিকে শরণার্থী হিসেবে ইংল্যান্ডে চলে যান। ১৯৬৩ সালের ডিসেম্বরে ব্রিটিশ শাসন থেকে শান্তিপূর্ণ মুক্তির পর জাঞ্জিবার একটি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট আবেদ কারুমের শাসনামলে আরব বংশোদ্ভূত নাগরিকদের নিপীড়ন গণহত্যা ঘটে। গুরনা ভুক্তভোগী নৃগোষ্ঠীর অন্তর্গত। স্কুল শেষ করার পর তার পরিবার কে ছেড়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ততক্ষণে নবগঠিত তানজানিয়া প্রজাতন্ত্র চলছে। তার বয়স ছিল আঠারো বছর। ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তার পক্ষে জাঞ্জিবারে ফিরে যাওয়া সম্ভব ছিল না। বাবার মৃত্যুর কিছুদিন আগে তাকে তার বাবাকে দেখতে দিয়েছিল।